বাঞ্ছারামপুরে কেটে নেওয়া পা উদ্ধার হয়নি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
 | প্রকাশিত : ২২ এপ্রিল ২০১৯, ১৭:৩৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের কালা মিয়ার কেটে নেওয়া পা চার দিনেও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। বর্বরোচিত এ ঘটনার হোতা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি আবুল বাশার ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের কেউই গ্রেপ্তার হয়নি।

এ ঘটনায় আবুল বাশারকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের নামে মামলা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরো ১৫-২০ জনকে। ঘটনার শিকার কালা মিয়ার স্ত্রী সালমা আক্তার বাদী হয়ে রবিবার সকালে মামলাটি করেন।

এদিকে ঘটনার নায়ক আবুল বাশারকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে আওয়ামী লীগ। শুক্রবার উপজেলার রূপসদী গ্রামে পূর্ব বিরোধের জের ধরে আবুল বাশার ও তার সহযোগীরা কালা মিয়া (৪৫) এবং তার ছেলে বিপ্লব মিয়াকে (১৯) বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে টেঁটাবিদ্ধ করে। শত শত লোকের সামনে তারা এ ঘটনা ঘটায়। কালা মিয়া মাটিতে লুটে পড়লে তার ডান পায়ের হাঁটু থেকে নিচ পর্যন্ত দা দিয়ে কেটে নিয়ে যায় বাশার ও তার সহযোগীরা। এ সময় কালা মিয়ার ছেলে বিপ্লবের দুই পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয়।

তাদের উদ্ধার করে প্রথমে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের ঢাকায় পাঠান। ঘটনার খবর পেয়ে কেটে নেয়া পা উদ্ধারে অভিযান শুরু করে বাঞ্ছারামপুর থানার পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আটক করে। বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিন চৌধুরী জানান, বিশাল এলাকা। পা কেটে কোথায় রেখেছে সেটি তারা ট্রেস করতে পারছেন না। বাশারকে ধরার জন্যও চেষ্টা করছেন তারা।

এদিকে শনিবার রাতে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হাসান ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক আল আমিন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আবুল বাশারকে দল থেকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, স্বেচ্ছাসেবক লীগ বাঞ্ছারামপুর উপজেলা শাখার সহসভাপতি আবুল বাশার সন্ত্রাসী কর্মকা-ে জড়িত থাকার অভিযোগে তার সহ-সভাপতি পদ থেকে বহিষ্কার ও প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিল করা হলো।

(ঢাকাটাইমস/২২এপ্রিল/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :