স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা!

প্রকাশ | ২২ এপ্রিল ২০১৯, ১৮:৫২ | আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০১৯, ১৯:৪৯

কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার টোক ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রামে শ্বশুরবাড়ি থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। সোমবার দুপুরে একটি ঘরের আঁড়ার সঙ্গে স্বামী লিমনকে ঝুলন্ত অবস্থায় ও বিছানায় স্ত্রী ফাহিমার মরদেহ পাওয়া যায়। পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

ফাহিমার গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখে পুলিশের ধারণা, লিমন তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর নিজে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। একই অভিযোগ তুলে ফাহিমার পরিবারও বলেছে, পরকীয়ার জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। 

নিহত ফাহিমা আড়ালিয়া গ্রামের আইসক্রিম বিক্রেতা ফজলুল হকের মেয়ে ও অটোরিকশা চালক লিমন পাশের বড়চালা গ্রামের মনিরের ছেলে। এর আগে ফাহিমার বড় বোন ও লিমনের বড় ভাইও গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন।

ফাহিমার মা ফরিদা জানান, প্রায় নয়মাস আগে তার মেয়ের পারিবারিকভাবে বিয়ের পর থেকে লিমন শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন। কয়েক মাস পর থেকে তাদের মাঝে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকত। স্বামীর অন্যত্র পরকীয়ার সর্ম্পক আছে বলে অভিযোগ তুলে ফাহিমা প্রায়ই ঝগড়া করতেন। লিমন স্ত্রী ফাহিমাকে বিভিন্ন সময় যৌতুকের জন্যে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন বলেও অভিযোগ ছিল। মাসখানেক ধরে লিমন শ্বশুরবাড়িতে যাতায়াত বন্ধ করে দেন। 

হঠাৎ করেই লিমন রবিবার শ্বশুরবাড়িতে এলে সকাল পর্যন্ত স্বামী-স্ত্রীর মাঝে স্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা গেছে। সকাল সাড়ে দশটার পর বাড়িতে কোনো লোকজন না থাকায় তারা দুজন ঘরে দরজা বন্ধ করে রাখেন। বাড়ির লোকজন দুপুর ১২টার দিকে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ফাহিমাকে বিছানায় মৃত অবস্থায় ও লিমনকে স্ত্রীর ওড়না দিয়ে ঘরের আঁড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে খবর দিলে কাপাসিয়া থানার ওসি (অপারেশন) মো. মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল মরদেহ দুটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  (ওসি) আবু বকর সিদ্দীক জানান, ফাহিমার গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখে ধারণা করা হচ্ছে, লিমন স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর নিজে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২২এপ্রিল/প্রতিবেদক/এআর)