শাবিতে তৈরি পায়ে হাঁটা রোবট উন্মুক্ত

প্রকাশ | ২২ এপ্রিল ২০১৯, ১৯:৫০

মাসুদ আল রাজী

শাজলালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) একদল শিক্ষার্থী দেশের প্রথম পায়ে হাঁটা রোবট উদ্ভাবন করেছেন। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ^বিদ্যালয়ের ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া আইআইসিটি ভবনে ‘লি’ নামের রোবটটি সবার সামনে উন্মুক্ত করা হয়।

সামাজিক রোবট ‘রিবো’ উদ্ভাবনের পর এবার ‘লি’ নামে পায়ে হাঁটা রোবট উদ্ভাবন করে শাবিতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন ওই শিক্ষার্থীরা।
শাবির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও নর্থ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের প্রভাষক নওশাদ সজীবের নেতৃত্বে ‘ফ্রাইডে ল্যাব’ নামে পাঁচজনের একটি টিম এই রোবটটি উদ্ভাবন করেন। এটি দেশের প্রথম পায়ে হাঁটা রোবট বলে দাবি করছেন উদ্ভাবকরা।

রোবট ‘লি’-এর বিষয়ে নওশাদ সজীব বলেন, ‘বাংলাদেশে তৈরি হিউমেনয়েড রোবটটি দেখতে মানুষের মতো। এর উচ্চতা ৪ ফুট ১ ইঞ্চি  (১২৬ সেমি)। এ রোবটের প্রধান বৈশিষ্ট্য এটি মানুষের মতো হাঁটতে পারে, বাংলায় কথা বলতে পারে, বাংলাদেশ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে। এটির ওজন ৩০ কেজি। বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি ডিভিশনের ইনভেশন ফান্ডের ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে রোবটটি তৈরিতে সময় লেগেছে তিন বছর।’

ফ্রাইডে ল্যাবের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে আছেন জনপ্রিয় লেখক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। গত ২০ এপ্রিল (শনিবার) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এমপি রোবটটি উদ্বোধন করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন শাবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম, সিএসই বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. জহিরুল ইসলাম প্রমুখ। সে সময় রোবটটি প্রতিমন্ত্রীকে ডান হাত উঁচু করে স্যালুট দিয়ে সম্মান দেখায় এবং হাঁটে।

টিমের সদস্য মেহেদী হাসান রূপক বলেন, ‘আইসিটি ডিভিশন থেকে ১০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে যদি আমাদের সহযোগিতা করা হয় তাহলে আরও ভালো মানের রোবট তৈরি করতে পারব। ‘আমিসু’ বিশে^র অন্যতম একটি ইন্টিলিজেন্ট রোবট। এটি কিনতে ২৫ কোটি টাকা খরচ হবে। আমাদের যথেষ্ট সহযোগিতা করা হলে আমরা এমন রোবট তৈরি করতে পারব।’

আরেক সদস্য সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘শাবিতে তৈরি আগের রোবট রিবোর সঙ্গে বর্তমান লি-এর পার্থক্য হলো লি হাঁটতে পারে। রোবটকে হাঁটানোর জন্য অনেক দামি মোটর প্রয়োজন। কিন্তু আমরা কম বাজেট পেয়েছি। আরও বাজেট পেলে উন্নত মানের রোবট তৈরি করতে পারব।’

টিমের অপর সদস্য জিনিয়া সুলতানা জ্যোতি বলেন, ‘রোবটটি বাংলায় যাতে কথা বলতে পারে অর্থাৎ কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তার বিষয়টি নিয়ে আমি কাজ করেছি। রোবটটিকে গান, কবিতা ইত্যাদি শিখানো হয়েছে। সাধারণত বাসাবাড়ি ও অফিসে ব্যবহার করা হয় এমন সব ভাষা লিকে শেখানো হয়েছে।’

(ঢাকাটাইমস/২২এপ্রিল/মোআ)