শহীদ শঙ্কু’র মায়ের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন যুবলীগ নেতা

প্রকাশ | ২২ এপ্রিল ২০১৯, ২২:৩০

ব্যুরো প্রধান, রংপুর

মুক্তিযুদ্ধে রংপুরের প্রথম শহীদ শঙ্কু’র মায়ের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন রংপুর মহানগর আওয়ামী-যুবলীগের  আহ্বায়ক এবিএম সিরাজুম মনির বাসার। রবিবার বিকালে মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক সিরাজুম মনির বাসার নিজে শহীদ শঙ্কু’র বাড়িতে গিয়ে খোঁজ খবর নেন এবং তার চিকিৎসার যাবতীয় খরচ বহন করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসেন এবং নগদ অর্থ প্রদান করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ শঙ্কু সমাজদার। যার রক্তে রক্তাক্ত হয়েছিল রংপুরের মাটি। দাউ দাউ করে জ্বলে উঠেছিল বিদ্রোহের আগুন। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সারাদেশ বিক্ষোভে ফেটে পড়েছিল মুক্তির সংগ্রাম আর স্লোগানে।

একাত্তরের ৩ মার্চ পূর্ব ঘোষিত জাতীয় পরিষদের অধিবেশন হওয়ায় কথা থাকলেও হঠাৎ করেই কোন কারণ ছাড়া পাকিস্তানি শাসক প্রধান ইয়াহিয়া খান ১ মার্চ তা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেন। এই হঠকারী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানায় ৭০’র নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পাওয়া আওয়ামী লীগসহ সারাবাংলার মানুষ। ২ মার্চ ঢাকায় এবং ৩ মার্চ সারাদেশে হরতাল ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু।

৩ মার্চ কারফিউ ভেঙে রংপুরেও হরতাল পালিত হয়। সেই অসহযোগ আন্দোলনে বিক্ষোভ মিছিলে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন শঙ্কু সমাজদার। ১২ বছর বয়সী এই শহীদের নাম গেজেটভুক্ত হলেও সরকারি কোন সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে না তার পরিবার।

এদিকে রংপুর শহরের কামাল কাছনায় জীর্ণশীর্ণ বাড়িতে বাস করছেন শঙ্কুর মা শত বছর বয়সী দ্বীপলি সমজদার। অনাহারে-অর্ধাহারে তার দিন কাটছে।

তারই মধ্যে বাড়ির উঠানে পা পিছলে পড়ে বাম উরুর দুটি হাড় ভেঙে গেলে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে স্টিলের দুটো হাড় সংযোজনের মাধ্যমে আপাতত তাকে সারিয়ে তোলা হলেও প্রায় দুমাস ধরে তিনি শয্যাশায়ী।

আর্থিক অনটনের কারণে ওষুধ পথ্য তো দূরের কথা, দুবেলা দুমুঠো খাবার জোটানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে। কোন আত্মীয়-স্বজন কিংবা কোন হৃদয়বান ব্যক্তি ন্যূনতম সাহায্য সহযোগিতা করলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল্য। সব মিলিয়ে চিকিৎসার অভাবে শহীদ এই মাতা এখন মৃত্যুমুখে।

(ঢাকাটাইমস/২২এপ্রিল/এলএ)