ময়মনসিংহে যুবলীগ নেতা কাউসারের বাড়িতে হামলা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২২ এপ্রিল ২০১৯, ২৩:৪২

ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক কাউসার আহমেদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

উপজেলার বীরবখুরা গ্রামে সোমবার বিকালে পুলিশ আসামি ধরতে গেলে তাদের উপস্থিতিতে দুর্বৃত্তরা হামলা ও লুটপাট চালিয়েছে বলে কাউসারের পরিবার অভিযোগ করে।

স্থানীয় পত্যক্ষদর্শী রাসেল ও সুমন হোসেন বলেন, ‘পুলিশ কারো বাড়িতে আসামি ধরতে আসাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আসামি ধরার নামে দুর্বৃত্তদের সাথে নিয়ে বাড়ির বেড রুমে প্রবেশ করে মহিলাদের গালিগালাজ করা, ভাঙচুর ও লুটপাট করা এটা কোন ধরনের আইন।’

যুবলীগ নেতার বাবা হোসেন মড়ল বলেন, ‘বিকালে পুলিশের পোশাকে তিনটি মোটরসাইকেল এবং সাদা পোশাকে তিনটি মোটরসাইকেলে করে ১০-১৫ জন বাড়িতে ঢুকে সামনের গেট লাগিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে কাউসারকে খোঁজ করে। তাকে না পেয়ে ঘরে প্রবেশ করে ফ্রিজ, টিভি, সুকেস, চেয়ারসহ মূল্যবান আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। এ সময় আলমিরাতে থাকা ২১ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ প্রায় ৭০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।’

যুবলীগ নেতা কাউসারের স্ত্রী রোজিনা আক্তার বলেন, ‘আমি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষিকা। আমাদের পারিবারিকভাবে এলাকাতে একটা সুনাম রয়েছে। কিন্তু পুলিশ আসামি ধরার নামে আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করে মহিলাদের অশালীনভাবে গালিগালাজ করে। বেডরুমে প্রবেশ ফ্রিজ, টিভি, সুকেস, চেয়ারসহ মূল্যবান আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। আমার ছয় বছরের ছেলেকেও মারধর করে উঠিয়ে নিয়ে যেতে চায়। এছাড়া ঘরের আলমিরা থেকে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা লুট করে। যাওয়ার সময় আমার স্বামীর ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও নিয়ে যায় তারা।’

গফরগাঁও থানার ওসি আব্দুল আহাদ খান বলেন, ‘ব্রহ্মপুত্র নদে বালুমহালের ইজারা নিয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় কাউসারের বাড়িতে পুলিশ আসামি ধরতে গিয়েছিল। কিন্তু সেখানে কে বা কারা ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে তা আমার জানা নেই।’

গফরগাঁও সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘বীরবখুরা গ্রামে বিকালে পুলিশ আসামি ধরতে গিয়েছিল। সেখানে পুলিশ কোনো হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটায়নি। তবে কাউসারের পরিবার হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ করেছে। আর গত রবিবারের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’

প্রসঙ্গত, ব্রহ্মপুত্র নদে বালুমহালের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক তাজমুন আহমেদ ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান সানিল গ্রুপের সাথে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক কাউসার আহমেদের বিরোধ চলছিল। এ ঘটনার জেরে গত রবিবার রাতে তাজমুন, সানিল গ্রুপের সাথে কাউসার গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় উভয় গ্রুপের অন্তত পাঁচজন আহত হন।

(ঢাকাটাইমস/২২এপ্রিল/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :