এমডিকে ‘সুপেয় পানির’ শরবত খাওয়াতে ওয়াসার সামনে অবস্থান

প্রকাশ | ২৩ এপ্রিল ২০১৯, ১২:৫৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) ওয়াসার পানি দিয়ে শরবত বানিয়ে খাওয়াতে এসেছেন জুরাইনবাসী।

মঙ্গলবার সকাল ১১টায় কারওয়ানবাজারে অবস্থিত সংস্থাটির ভবনের সামনে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী অবস্থান নেয় তারা। কর্মসূচির নেতৃত্ব দিচ্ছেন মিজানুর রহমান।

গত ১৭ এপ্রিল টিআইবির পক্ষ থেকে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ‘ঢাকা ওয়াসা: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে ওয়াসায় অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা ওয়াসার পানির নিম্নমানের কারণে ৯৩ শতাংশ গ্রাহক বিভিন্ন পদ্ধতিতে পানি পানের উপযোগী করে। এর মধ্যে ৯১ শতাংশ গ্রাহকই পানি ফুটিয়ে বা সিদ্ধ করে পান করে। গৃহস্থালি পর্যায়ে পানি ফুটিয়ে পানের উপযোগী করতে প্রতি বছর আনুমানিক ৩৩২ কোটি টাকার গ্যাসের অপচয় হয়।

টিআইবির এমন প্রতিবেদনের সমালোচনা করে ওয়াসার পানি শতভাগ সুপেয় বলে দাবি করেন সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম। তার মন্তব্যের প্রতিবাদ জানায় পুরান ঢাকার জুরাইনবাসী। এর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় তারা কারওয়ানবাজারে অবস্থিত ওয়াসা ভবনের ঠিক বিপরীতে অবস্থান নেন তারা।

কর্মসূচির নেতৃত্ব দেয়া জুরাইন এলাকার বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের এলাকায় ওয়াসার পানি ড্রেনের পানির মতো অপরিষ্কার। এটা তো খাওয়া দূরের কথা গন্ধে হাতে নেওয়াই যায় না। এ অবস্থায় ওয়াসার এমডি কীভাবে বলেন ওয়াসার পানি শতভাগ সুপেয়, বিশুদ্ধ। তাই পূর্ব জুরাইনের দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা এমডিকে এই পানি দিয়ে শরবত বানিয়ে খাওয়াতে এসেছি।’

মিজানুর রহমান আরও বলেন, ‘আমাদের এলাকার পানি খুবই খারাপ, দুর্গন্ধযুক্ত ও ড্রেনের পানির মতো। ২০১২ সালে আমরা জুরাইনের সাড়ে ৩ হাজার বাসিন্দা গণস্বাক্ষর নিয়ে ওয়াসার এমডি বরাবর একটি অভিযোগ করেছিলাম। সেই অভিযোগে কোনো কাজ হয়নি। এখনো প্রতিদিন ময়লা পানি আসে। আমরা কয়েক বছর ধরে ওয়াসার পানি শুধুমাত্র গোসল, কাপড় ও বাসনকোসন ধোয়ার জন্য ব্যবহার করছি। খাওয়ার জন্য মসজিদের টিউবওয়েলের পানি কিনে খাচ্ছি। প্রতি ১০ লিটার পানির জন্য ২ টাকা দিতে হয়। এ অবস্থায় ওয়াসার এমডি কী মনে করে পানিকে শতভাগ সুপেয় বললেন, তা আমাদের বোধগম্য হয়নি। আজ আমরা এসেছি এর সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখানে অবস্থান করবো।’

ঢাকাটাইমস/২৩এপ্রিল/এমআর