খালেদার নাইকো দুর্নীতি মামলায় চার্জশুনানি ফের পেছাল

প্রকাশ | ২৩ এপ্রিল ২০১৯, ১৪:৩৯

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা নাইকো দুর্নীতি মামলার চার্জগঠনের শুনানি পিছিয়ে ৬ মে নতুন তারিখ ঠিক করেছেন আদালত। মঙ্গলবার ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমান এ তারিখ ঠিক করেন।

পুরান ঢাকার পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে স্থাপিত আদালতে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মামলার অভিযোগ হতে অব্যাহতির জন্য আবেদন দাখিল এবং শুনানির দিন ধার্য ছিল। শুনানিতে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর আইনজীবীরা বলেন, কারা কর্তৃপক্ষ অসুস্থতার জন্য খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। ওই কারণে তাকে আদালতে হাজির করা যায়নি। যেহেতু চার্জশুনানি আসামির উপস্থিতিতে হতে হয়, তাই খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতে চার্জ শুনানি সম্ভব নয়।

এ সময় বিচারক এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবীর বক্তব্য জানাতে চাইলে তিনিও সহমত প্রকাশ করেন। শুনানি শেষে আদালত চার্জগঠনের শুনানি পিছিয়ে ৬ মে নতুন তারিখ ধার্য করেন।

অসুস্থতার কারণে গত ১ এপ্রিল খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করেন কারা কর্তৃপক্ষ।

নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়াও অপর আসামিরা হলেন, বিতর্কিত ব্যবসায়ী তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া (সিলভার সেলিম),  জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, তখনকার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক।

ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে ‘তুলে দেওয়ার’ অভিযোগে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতির অভিযোগে মামলাটি করা হয়। ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলাটির তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

চার্জশিটের বৈধতা চ্যলেঞ্জ করে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে রিট করলে ২০০৮ সালের ৯ জুলাই হাইকোর্ট নি¤œ আদালতের কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন। ২০১৫ সালের ১৮ জুন হাইকোর্ট রুল ডিচার্জ করে স্থাগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন।

ঢাকাটাইমস/২৩এপ্রিল/আরজে/এমআর