মুন্সীগঞ্জের শাহিন হত্যার দায়ে সাতজনের যাবজ্জীবন

প্রকাশ | ২৩ এপ্রিল ২০১৯, ১৮:২০ | আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০১৯, ১৮:৫৯

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

পূর্বশত্রুতার জেরে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের শাহিনকে হত্যার দায়ে সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।

মামলার ২৩ আসামির মধ্যে বাকি ১৬ জন বেকসুর খালাস পেয়েছেন।

মঙ্গলবার ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মনির কামাল চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলাটির এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সোহেল চৌকিদার, এমারত চৌকিদার, আওলাদ চৌকিদার, মো. বাঁধন, রনি কাজী, রাজা খাঁ ও মাসুদ তালুকদার। তাদের মধ্যে রাজা খাঁ ছাড়া অন্য আসামিরা পলাতক।

খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন- রনি সিকদার ওরফে কানা রনি, জসীম ওরফে চৌরা জসিম, মুক্তার হাওলাদার, আমজাদ হোসেন, জহুরুল কাজী, শাহীন চৌকিদার, সাব্বির শেখ, শাকিল শেখ, রাসেল হাওলাদার, মিঠু হাওলাদার, জুয়েল মোল্লা, সেতু মোল্লা, রুবেল মৃধা, ভুট্টু চৌকিদার, বাবু খাঁ ও রিমন খাঁ। তাদের মধ্যে প্রথম আটজন পলাতক।  অন্য আটজন আদালতে হাজির ছিলেন।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৬ মার্চ ঢাকা থেকে দোহারগামী আরাম পরিবহনের বাসে  শ্রীনগরের বাড়িতে যাচ্ছিলেন শাহিন। শ্রীনগর থানার আলামিন বাজার বাসস্ট্যান্ডের পূর্ব পাশের ব্রিজে পূর্বশত্রুতার জেরে ওঁৎ পেতে ছিলেন আসামিরা। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে সেখানে এলে তারা বাসটি থামিয়ে ভেতরে ঢুকে শাহিনকে খুঁজে বের করেন। সোহেল পিস্তল দিয়ে শাহিনের বুকের বাম দিকে, রাজা বুকের ডান পাশে, রাসেল  পেটে আর বাধন বাম পায়ের হাঁটুর ওপরে  গুলি করে মারাত্মক জখম করেন। মৃত্যু নিশ্চিত করতে ভুট্টু, রনি ও আওলাদ রামদা দিয়ে শাহিনকে এলোপাতাড়ি কোপান। এরপর পিস্তলের ফাঁকা গুলি করতে করতে চলে যান আসামিরা।

এলাকার লোকজন শাহিনকে উদ্ধার করে ফুলতলা রাজ্জাক হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শাহিন।

ওই ঘটনায় শাহিনের ফুফু কানন বেগম শ্রীনগর থানায় ওই বছরের ১১ মার্চ ২৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাটি করেন। তদন্ত শেষে মুন্সিগঞ্জ সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম ২৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। গত বছরের ৭ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠনের মাধ্যমে মামলাটির বিচার শুরু করে ২৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনাল।

(ঢাকাটাইমস/২৩এপ্রিল/প্রতিবেদক/এআর)