পাকিস্তানি তরুণী ধর্ষণের মূল হোতা গ্রেপ্তার
টাঙ্গাইলের আলোচিত পাকিস্তানি তরুণী ধর্ষণ মামলার মূল হোতা তার চাচাতো ভাই আল-আমিনকে কুড়িগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান র্যাব-১২ এর একটি দল।
মঙ্গলবার সকালে কুড়িগ্রামের রাজিবপুর থানার পঞ্চনগর গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিকালে র্যাব-১২ এর অধিনায়ক আব্দুল্লাহ আল মোমেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
আল-আমিনের বাড়ি টাঙ্গাইলের গোপালপুরে। তিনি ধর্ষিত মেয়েটির সম্পর্কে চাচাতো ভাই হন।
মাকে নিয়ে ছয় মাসের ভিসায় বাংলাদেশে এসেছিলেন পাকিস্তানি ওই কিশোরী। এরই মধ্যে মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হয়। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসা চলছে কিশোরীর। পাকিস্তানের নিউ করাচির পুপার হাইওয়েজ রোডের বাসিন্দা এবং সেখানকার একটি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী ওই কিশোরী।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব কর্মকর্তা বলেন, গোপালপুর এলাকার বাংলাদেশি এক নাগরিক চাকরির সুবাদে পাকিস্তানে বসবাস করেন। প্রায় ২০ বছর আগে তিনি পাকিস্তানের এক মেয়েকে বিয়ে করে সেখানকার নাগরিক হয়ে যান। তাদের সংসারে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। পাঁচ মাস আগে তাদের কন্যা পিতৃভূমি দেখতে তার মাকে সঙ্গে নিয়ে গোপালপুরে চাচার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। সেখানে অবস্থানকালে ওই কিশোরীর চাচাতো ভাই আল-আমিন তাকে উত্ত্যক্ত ও কু-প্রস্তাব দেন।
আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, ১৬ এপ্রিল রাত সাড় ৯টার দিকে কিশোরীকে একা পেয়ে অন্যান্য সহযোগীদের সহায়তায় অপহরণ করে মোটরসাইকেলযোগে নিয়ে যান আল-আমিন। পরদিন ১৭ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১১টায় কিশোরীকে ধর্ষণ করে জামালপুরের সরিষাবাড়ী থানার মহিষাকান্দি এলাকায় ফেলে রেখে যায়।
পরে এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। মামলার পর পুলিশের পাশাপাশি র্যাব সদস্যরাও আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সকালে কুড়িগ্রামের রাজিবপুর থানার পঞ্চনগর গ্রামে অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি আল-আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
(ঢাকাটাইমস/২৩এপ্রিল/বিইউ/জেবি)