ফি কমানোর দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ-অনশন

প্রকাশ | ২৩ এপ্রিল ২০১৯, ২১:০২

ইবি প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বেতন ও ভর্তি ফিসহ অন্যান্য ফি কমানোর দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় চার শিক্ষার্থী আমরণ অনশনে বসেন।

মঙ্গলবার ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে এ কর্মসূচি শুরু করেন ২০১৭-১৮ ও ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের অন্য দাবির মধ্যে রয়েছে পরিবহন, আবাসিক হল, সেশন ফি কমাতে হবে।

এ উপলক্ষ্যে সকাল সাড়ে ৯ টায় ক্যাম্পাসের ডায়না চত্বর থেকে মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে গিয়ে মিলিত হয়। পরে সকাল ১০ টার দিকে প্রশাসন ভবনের প্রধান ফটক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে তারা। সেখানে কয়েক ঘন্টা অবস্থানের পর দুপুর ১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেট অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত অবস্থান করে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৪ জন আমরণ অনশনে বসেন। তাদের মধ্যে দুইজনকে অসুস্থ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে পাঠানো হয়।
আন্দোলনের এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দীন ও দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক আনিছুর রহমান উপস্থিত হন। এ সময় আন্দোলনকারীদের দাবিকে মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন তারা। কিন্তু শিক্ষার্থীরা মুখের কথায় বিশ্বাস না করে তাদের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. হারুন-উ-রশিদ আসকারীর আশ্বাসে তারা কর্মসূচী শেষ করে। এ সময় ডাবের পানি দিয়ে আমরণ অনশনরত অন্য দুই শিক্ষার্থীর অনশন ভাঙ্গায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রক্টর আনিছুর রহমান।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, ‘২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে ভর্তি ফিসহ অন্যান্য ফি ৪গুণ বৃদ্ধি করে সাড়ে ৩হাজার থেকে ১৪ হাজার করা হয়। এখন প্রতি বছর সাড়ে ৯হাজার টাকা অতিরিক্ত ফি গুণতে হচ্ছে। যা আগে ছিল ৩ হাজার। এসব কারণে আমরা দীর্ঘদিন ধরে মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি, প্রশাসন বরাবর স্মারকলিপি প্রদান সহ নানা কর্মসূচি পালন করেছি। কিন্তু তাতেও কোন কাজ হয়নি। ফলে আজকে আমরা চূড়ান্ত আন্দোলনে নেমেছি। প্রশাসন আগামীকাল বেলা ১২ টার মধ্যে আমাদের দাবি নিয়ে মিটিং করবে বলে জানিয়েছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আজ আন্দোলন থেকে সরে গেছি।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আনিছুর রহমান বলেন, ‘তাদের বিষয়ে আগামীকাল বেলা ১১ টায় মিটিং ডাকা হয়েছে। সেই মিটিং এ সকল অনুষদের ডিন ও সকল বিভাগের সভাপতিরা উপস্থিত থাকবেন। তখনি তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমান বলেন, ‘বাজারের চাহিদা অনুযায়ী আমরা ফি বৃদ্ধি করেছি। যা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে কম। এটা একটি মীমাংসিত ইস্যু।’

 ঢাকাটাইমস/২৩এপ্রিল/ইএস