শেখ সেলিমকে জড়িয়ে ধরে কাঁদলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ | ২৩ এপ্রিল ২০১৯, ২১:৪৭ | আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০১৯, ২১:৫৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিন দিনের সফরে ব্রুনাই থাকাকালে শ্রীলঙ্কায় সিরিজ বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। সেই ভয়াবহ হামলায় প্রধানমন্ত্রীর ফুফাতো ভাই এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের নাতি  জায়ান চৌধুরী মারা যায়। গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন মেয়ের জামাতা মশিউল হক চৌধুরী।

শোকে কাতর শেখ সেলিমের পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা জানাতে মন্ত্রিসভার সদস্যসহ অনেকেই ইতিমধ্যে ছুটে গেছেন বনানীর বাসায়। তবে প্রধানমন্ত্রী দেশের বাইরে থাকায় শোকাহত পরিবারের কাউকে সরাসরি সান্ত্বনা জানানো সম্ভব হয়নি।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে প্রধানমন্ত্রী হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন শেখ সেলিমও। তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ সেলিমকে জড়িয়ে ধরে কাঁদলেন নাতি জায়ানের জন্য। এ সময় সেখানে সৃষ্টি হয় আবেগঘন এক পরিবেশের। পাশে থাকা অন্যদের চোখও তখন ছলছল করছিল।

জায়ান চৌধুরীর বয়স হয়েছিল আট বছর। সে রাজধানীর উত্তরা সানবিম স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল। বাবা-মায়ের সঙ্গে শ্রীলঙ্কায় ঘুরতে গিয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসের শিকার হয় ছোট্ট জায়ান। আগামীকাল বুধবার কফিনে মুড়িয়ে দেশে ফিরবে জায়ান। তাকে সমাহিত করা হবে বনানী কবরস্থানে।

দুই ছেলে ও স্বামীকে নিয়ে শ্রীলঙ্কায় ঘুরতে যাওয়া আমেনা সুলতানা দেশটির একটি পাঁচতারকা হোটেলে ছিলেন। হামলার সময় শেখ আমেনা ছোট ছেলে জোহানকে নিয়ে হোটেলটিতে তাদের কক্ষে ছিলেন। আর নিচতলার একটি রেস্তোরাঁয় সকালের নাস্তা করতে গিয়েছিলেন আমেনার স্বামী মশিউল হক চৌধুরী ও তাদের বড় ছেলে জায়ান চৌধুরী। বোমা হামলায় মশিউল আহত হন এবং ছেলে জায়ান নিখোঁজ হয়। পরে জায়ানের মৃত্যু খবর আসে।

এদিকে মঙ্গলবার সকালে শেখ সেলিম নাতির জানাজার জন্য প্রস্তুত হওয়া বনানীর মাঠ দেখতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানান, জামাতার অবস্থা কিছুটা উন্নতি হয়েছে, তবে এখনো শঙ্কামুক্ত নয়।

(ঢাকাটাইমস/২৩এপ্রিল/জেবি)