উইকেটশূন্য সাকিব, ওয়াটসনের কাছে হারল হায়দরাবাদ

প্রকাশ | ২৪ এপ্রিল ২০১৯, ০৯:২৫

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

চিপকে হাসতে হাসতে জয় ধোনিদের। মঙ্গলবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৬ উইকেট হারিয়ে লিগ টেবলে ফের এক নম্বরে চলে গেল চেন্নাই সুপার কিংস। সেই সঙ্গে ১১ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে কার্যত প্লে-অফে পৌঁছে গেল ধোনি অ্যান্ড কোং। উপলে প্রথম সাক্ষাতে সানরাইজার্সের কাছে ৬ উইকেট হেরেছিল চেন্নাই। এদিন চিপকে তার বদলা নিল সিএসকে। ধোনিদের পরের ম্যাচ মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে।

টানা ৮ ম্যাচ একাদশের বাইরে থাকার পর এই সানরাইজার্স হায়দরাবাদ একাদশে সুযোগ পান টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। কিন্তু তিনি ব্যাট করার সুযোগ পাননি। বল হাতে ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন তিনি।

চিপকের বাইশ গজে ১৭৬ রান তাড়া করতে নেমে চেন্নাই সুপার কিংস শুরুতেই ফাফ ডু প্লেসির উইকেট হারায়। কিন্তু ওয়াটসনের দুরন্ত ইনিংসে ম্যাচ জিতে নেয় সুপার কিংস। ৫৩ বলে ৯৬ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলে ম্যাচের খেলোয়াড় নির্বাচিত হন ওয়াটসন। ৬ ছক্কা ও ৯টি চার মারেন তিনি। তবে, অল্পের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া হয় সিএসকে ওপেনারের। ভুবনেশ্বরের বলে উইকেটের পিছনে দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়ে ওয়াটসনকে ডাগ-আউটে ফেরান জনি বেয়ারস্টো।

ওয়াটসন যখন আউট হয়ে ডাগ-আউটে ফেরেন তখন চেন্নাইয়ের জয় হাতের মুঠোয়। সেখান থেকেও অবশ্য ম্যাচ শেষ ওভার পর্যন্ত টেনে নিয়ে যান অম্বাতি রায়ডু ও কেদার যাদব। শেষ ওভারে ধোনিদের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৯ রান। সন্দীপ শর্মার ওভারের দ্বিতীয় বলেই ছক্কা মেরে জয় নিশ্চিত করেন কেদার। চতুর্থ ডেলিভারিতে রায়ডু আউট হলেও এক বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় চেন্নাই। আগের ম্যাচে আরসিবি’র বিরুদ্ধে লাস্ট বল ড্রামায় ম্যাচ হেরেছিল সিএসকে।

এদিন টস জিতে সানরাইজার্সকে প্রথমে ব্যাটিং করতে পাঠিয়েছিলেন সিএসকে অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। দ্বিতীয় ওভারেই ফর্মে থাকা জনি বেয়ারস্টোয়ের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় সানরাইজার্স। ব্যক্তিগত শূন্য রানে হরভজন সিংয়ের বলে ডাগ-আউটে ফেরেন বেয়ারস্টো। কিন্তু শাহবাজ নাদিমের পরিবর্তে এদিন দলে ঢোকা মনিশ পান্ডে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে চেন্নাইকে পালটা চাপে রাখে। প্রথম বলেই ভাজ্জিকে বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে খাতা খোলেন মনিশ। ওয়ার্নারের থেকে অনেক বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন তিনি। মাত্র ২৫ বলে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মনিশ। আইপিএলে এটি ১৩তম হাফ সেঞ্চুরি কর্নাটকের এই ডানহাতি। ৩৯ রান দিয়ে দুইটি উইকেট নেন ভাজ্জি।

মনিশ ও ওয়ার্নারের সেঞ্চুরি পার্টনারশিপে ১১ ওভারেই সেঞ্চুরির গণ্ডি টপকে যায় সিএসকে। দ্বিতীয় উইকেটে ১১৫ রান যোগ করে ভাজ্জির শিকার হন ওয়ার্নার। তবে ডাগ-আউটে ফেরার আগে ৪৫ বলে দুইটি ছক্কা ও তিনটি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫৭ রানের ইনিংস খেলেন সানরাইজার্সের এই বাঁ-হাতি।

ওয়ার্নার ডাগ-আউটে ফিরলেও ব্যক্তিগত ৮৩ রানে অপরাজিত থাকেন মনিশ। ৪৯ বলের ইনিংসে তিনটি ছয় ও সাতটি বাউন্ডারি মারেন তিনি। বেশ কয়েকটি ম্যাচ বাইরে থাকার পর এদিন দারুণ প্রত্যাবর্তন করেন মনিশ। তবে ওয়ার্নার আউট হওয়ার পর ২০ বলে ২৬ রান করেন বিজয় শঙ্কর। তবে ১১তম ওভারে শতরানের গণ্ডি টপকানোর পর দু’শোর গণ্ডি টপকানোর সম্ভাবনা ছিল সানরাইজার্সের। কিন্তু শেষ দিকে সিএসকে বোলাররা ভালো বোলিং করায় ১৭৫ রানে থেমে যায় হায়দরাবাদ।

রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন ওয়াটসন। ৯৬ রানের ইনিংস খেলে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এদিন ৮ হাজার রানের গণ্ডি টপকে যান ওয়াটসন। কিন্তু তৃতীয় ওভারে ডু প্লেসি রান আউট হয়ে ডাগ-আউটে ফিরলেও ওয়াটসন ও সুরেশ রায়নার ব্যাটে ম্যাচে জাঁকিয়ে বসে সিএসকে। সন্দীপ শর্মার এক ওভারে পাঁচটি বাউন্ডারি মারেন রায়না। ২৪ বলে ৩৮ রান করে রশীদ খানের বলে ডাগ-আউটে ফেরেন রায়না। চেন্নাইের কাছে হেরে ১০ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরেই থাকল সানরাইজার্স।

(ঢাকাটাইমস/২৪ এপ্রিল/এসইউএল)