পর্তুগালের সোশ্যালিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা

প্রকাশ | ২৪ এপ্রিল ২০১৯, ২১:২৩ | আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০১৯, ২২:১১

রনি মোহাম্মদ, পর্তুগাল

পর্তুগালের ক্ষমতাসীন দল সোশ্যালিস্ট পার্টির ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে অংশ নেন প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রায় ১২ জনের প্রতিনিধি দল।

প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ২২ এপ্রিল সোমবার পর্তুগাল সোশ্যালিস্ট পার্টির নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন কমিউনিটি প্রায় ২০০০ মানুষের নৈশভোজের মধ্যদিয়ে ৪৬তম এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে অংশ নেন পার্টির সেক্রেটারি ও প্রধানমন্ত্রী ড. আন্তনিয় কোস্টা, মেয়র ড. ফারনান্দো মেদিনা, মন্ত্রিপরিষদ, দলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ।

২৬ মে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট নির্বাচন উপলক্ষে দলের সভাপতি ও সেক্রেটারি, কেবিনেট মন্ত্রী এবং একজন ফাউন্ডার সদস্য দীর্ঘ ৪৬ বছরের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন। তাছাড়াও সোশ্যালিস্ট পার্টিকে কেন ভোট দিয়ে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে কথা বলার সুযোগ দিতে হবে তার ব্যাখ্যা করেন। সেই সাথে ইমিগ্রান্টদের জন্য পর্তুগাল সোশ্যালিস্ট পার্টির দেয়া বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা এবং অবদানের কথা বক্তব্যে উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত সোশ্যালিস্ট পার্টির স্থানীয় নেতা এবং লিসবন সিটি কাউন্সিলর রানা তসলিম উদ্দিনের নেতৃত্বে পর্তুগাল প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রায় ১২ জনের প্রতিনিধি দল এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকার সোশ্যালিস্ট পার্টির সেক্রেটারি, লিসবন মহানগরীর প্রেসিডেন্ট ও লিসবনের মেয়রসহ অনেকেই অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধি দলের সাথে কুশল বিনিময় করেন এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে, ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

প্রসঙ্গত, ১৯৭৩ সালের ১৯ এপ্রিলে জার্মানির ব্যাড মুনস্টারেইফেল শহরে ড. মারিও সোয়ার্স-এর নেতৃত্বে একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে একদল পর্তুগিজ স্বাধীনতাকামী মানুষ পর্তুগাল সোশ্যালিস্ট পার্টি গঠন করেন। এই সোশ্যালিস্ট পার্টির বিভিন্ন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এক সেনা অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে ১৯৭৪ সালের ২৫ এপ্রিল একনায়কতন্ত্রকে হটিয়ে গণতন্ত্রের স্বাধীনতা অর্জিত হয়। আর তাই ২৫ এপ্রিল পর্তুগালের স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।

(ঢাকাটাইমস/২৪এপ্রিল/এলএ)