বিভিন্ন তেলের গুণাগুণ

প্রকাশ | ২৫ এপ্রিল ২০১৯, ০৯:১১

ঢাকা টাইমস ডেস্ক

তেল বা চর্বির শরীরের জন্য খারাপ– এমন একটা ধারণা অনেকেরই, যা পুরোপুরি সত্যি নয়৷ কারণ তেলে গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপাদান, যা শরীরের জন্য খুব প্রয়োজন৷ তবে তেলের ভালো ও মন্দ দুদিকই রয়েছে। আসুন জেনে নিই কোন তেলে কী ধরনের উপকারীতা রয়েছে।

অলিভ অয়েল বা জলপাইয়ের তেল

অলিভ অয়েল যে স্বাস্থ্যকর তা বোধহয় সকলেরই জানা৷ এই তেল হৃদপিণ্ড এবং রক্তসঞ্চালন প্রক্রিয়ার জন্য খুবই উপকারী৷ তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে, জলপাই ঠান্ডা অবস্থায় চিপে যে তেল তৈরি হয়, তার গুণ বেশি, বিশেষ করে সালাদের জন্য৷ আর ভাজি বা রান্নার জন্য রিফাইন্ড বা পরিশোধিত তেল ব্যবহার করাই ভালো৷

নারকেল তেল

নারকেল তেলকে অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর তেল হিসেবেই গণ্য করা হয়৷ নারকেল তেলে রয়েছে প্রচুর লাউরিক অ্যাসিড, যা শরীরকে বিভিন্ন সংক্রামক রোগ ও ফাঙ্গাস থেকে দূরে রাখতে বিশেষভাবে সহায়তা করে৷ তাছাড়া রান্নায় মাখনের পরিবর্তে নারকেল তেল ব্যবহার করা যায়৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, এই তেল অতিরিক্ত গরম করলে উপকারিতা কমে যায়৷

মিষ্টি কুমড়ার বিচির তেল

মিষ্টি কুমড়ার বিচি খেতে বাদামের মতো স্বাদ লাগে বলেই যে মানুষ পছন্দ করে তা নয়৷ এর নানা গুণের জন্যও মিষ্টি কুমড়ার বিচির তেল বেশ জনপ্রিয়৷ এতে থাকা ভিটামিন ‘ই’ এবং লিনোলিয়াম অ্যাসিড কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে৷ যদিও মিষ্টি কুমড়ার বিচির তেল শুধুমাত্র ঠান্ডা খাবারে ব্যবহার করার জন্য উপযুক্ত৷ কারণ গরমে তেলের মূল্যবান উপাদানগুলি নষ্ট হয়ে যায়৷

তিলের তেল

‘তিল’ বলতেই বাঙালির কাছে লোভনীয় নাড়ু, খাজা ইত্যাদি৷ তিল থেকে তৈরি তেলের রয়েছে বিশেষ গুণ৷ যেমন শরীরের ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে এবং ডিপ্রেশন কমায়৷ এই তেল যেমন শরীরে মাখা যায়, তেমনি খাবারেও ব্যবহার করা হয়৷ স্বাস্থ্যগত উপকার ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সালাদে তিলের তেল বাড়তি স্বাদ আনে৷

ভুট্টার তেল

মাত্র এক লিটার তেল তৈরির জন্য গড়ে ১০০ কেজি ভুট্টাদানার প্রয়োজন৷ ভুট্টার তেলে রয়েছে কোষ সুরক্ষাকারী ভিটামিন ‘ই’ এবং ফ্যাটি অ্যাসিড, যা সুন্দর ত্বকের জন্য প্রয়োজন৷ তবে মনে রাখতে হবে, ভুট্টার গুণগতমান যত ভালো হবে, তার তেলও হবে ততটাই ভালো৷

ঢাকা টাইমস/২৫এপ্রিল/একে