দুই পায়ে বাড়ি ফিরছেন আবেগাপ্লুত রাসেল
সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিআরপি) থেকে দেয়া কৃত্রিম পায়ে হাঁটতে পেরে আবেগাপ্লুত হয়েছেন রাসেল সরকার। আর সেই পা নিয়েই আজ বাড়ি যাচ্ছেন গ্রিনলাইন বাসের চাপায় পা হারানো রাসেল।
গত বৃহস্পতিবার তার পায়ে কৃত্রিম পা সংযোজন করা হয়। সাত দিন পর সকল অনুশীলন শেষে আজ স্বাভাবিকভাবেই চলাফেরা করতে পারছেন তিনি। বৃহস্পতিবার গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়িতে নিজ বাড়িতে ফেরার কথা রয়েছে তার।
বৃহস্পতিবার সকালে সিআরপিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন রাসেল। বলেন, ‘আমি সিআরপির কাছে কৃতজ্ঞ। সিআরপি ছাড়া মনে হয় আমার আর হাটা-চলা সম্ভব হত না। ধন্যবাদ সিআরপি ও এই সংস্থার সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের।’
‘আর গ্রিনলাইন সম্পর্কে কি বলবো? তারা আমাকে পঙ্গু করে দিয়েছে। তাদের কাছে আমার খোঁজ রাখার দাবি জানাই। সিআরপির মতো যেন তারাও আমার পাশে থাকে।’
রাসেলের কৃত্রিম পা সংযোজনকারী চিকিৎসক সিআরপির অঙ্গ সংযোজন বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ শফিক জানান, ‘রাসেল সরকার চার সপ্তাহের অনুশীলন মাত্র এক সপ্তাহে শেষ করেছেন। তিনি এখন সম্পূর্ণভাবে স্বাভাবিক মানুষের মত চলাফেরা করতে পারছেন। রাসেল যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন সিআরপির পক্ষ থেকে তার পায়ের যাবতীয় চিকিৎসা বিনামূল্যে প্রদান করা হবে। তবে সেক্ষেত্রে একদিন আগে সিআরপিকে অবিহিত করতে হবে। এমনকি রাসেল যদি ব্যবসা করেন সেক্ষেত্রেও তাকে আর্থিক সহযোগিতা করবে সিআরপি।’
উল্লেখ্য গাইবান্ধার পলাশবাড়ি এলাকার বাসিন্দা রাসেল সরকার রাজধানীর আদাবর এলাকায় স্থানীয় একটি ‘রেন্ট-এ-কার’ প্রতিষ্ঠানের প্রাইভেটকার চালাতেন। ২০১৮ সালের ২৮ এপ্রিল মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারে কথা কাটাকাটির জেরে গ্রিন লাইন পরিবহনের বাসের চালক ক্ষিপ্ত হয়ে রাসেলকে চাপা দেয়। এতে তার বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
ঢাকাটাইমস/২৫এপ্রিল/আইআই/এমআর