মোবাইল টাওয়ারের ক্ষতিকর দিক জানতে চায় হাইকোর্ট

প্রকাশ | ২৫ এপ্রিল ২০১৯, ১৭:৪৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

মানবদেহের জন্য মোবাইল টাওয়ারের ক্ষতিকর দিক জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) সমীক্ষা চালিয়ে চার মাসের মধ্যে বিষয়গুলো আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে।

মোবাইল টাওয়ারের রেডিয়েশন (তেজস্ক্রিয়তা) প্রতিরোধে করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ রায় দেয়।

রিটটি করেন আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূইয়া। রিটের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী জিনাত হক।

একলাছ উদ্দিন ভূইয়া বলেন, কয়েক দফা নির্দেশনা দেয় আজ আদালত। আদেশে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, খেলার মাঠ, অফিস আদালতের ছাদে ও জনসমাগম এলাকার আশপাশের ভবনে স্থাপিত মোবাইল টাওয়ার মানুষের জন্য কী ধরনের ক্ষতি করছে তা জানতে বিটিআরসিকে সমীক্ষা চালাতে বলেছে আদালত। আগামী চার মাসের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি এ মামলাটি চলমান থাকবে বলেও আদালত বলেছেন।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূইয়া, সরোয়ার আহাদ চৌধুরী পরিবেশবাদী ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাললাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেন।

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ২০১২ সালে একুশে টেলিভিশনের ‘একুশের চোখ’ অনুষ্ঠানে মোবাইল টাওয়ারের রেডিয়েশনের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। এরপর এ ধরনের প্রতিবেদন সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে মোবাইল কোম্পানির টাওয়ারের রেডিয়েশনের মাত্রা এবং এর স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত প্রভাব খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যানকে বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানির কয়েকটি মোবাইলফোন টাওয়ার পরিদর্শন করে রেডিয়েশনের বিষয়ে আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

মনজিল মোরসেদ বলেন, আদালতের আদেশ অনুসারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গবেষণা করে জানায় দেশে ব্যবহৃত টাওয়ারগুলোর রেডিয়েশনের মাত্রা আন্তর্জাতিক মাত্রার তুলনায় বেশি। এরপর এ নিয়ে একটি গাইড লাইন করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। সে অনুসারে বিটিআরসি একটি গাইডলাইন করে আদালতে দাখিল করেছিল।

তিনি আরও বলেন, মামলার শুনানিতে আমরা ভারতের দু’টি রায় আদালতে দাখিল করেছি। সেখানে আমরা বলেছি আমাদের দেশের টাওয়ারের রেডিয়েশনের যে মাত্রা রয়েছে তা দশ ভাগের একভাগে কমিয়ে আনতে হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৫এপ্রিল/জেবি)