ভারতীয় সুখ সাগর পেঁয়াজ হচ্ছে মেহেরপুরেই

প্রকাশ | ২৬ এপ্রিল ২০১৯, ০৮:৩০

মেহেরপুর প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

কয়েক বছর আগেও ভারতীয় সুখ সাগর জাতের পেঁয়াজের বীজ চোরাইপথে সংগ্রহ করে চাষ করতেন মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার চাষিরা। চাহিদা ও দাম ভালো পাওয়ায় নিজেরাই এখন সেটি তৈরি করে লাভবান হচ্ছেন। ফলন বেশি হওয়ায় এই জাতের পেয়াঁজ নিয়ে গবেষণা চলছে, আগামীতে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে- বলছে কৃষি বিভাগ।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মাঠে এখন শোভা পাচ্ছে থোকা থোকা পেঁয়াজফুল। কিছুদির পর থেকেই বীজ সংগ্রহ করবেন চাষিরা।

গোরিনগর গ্রামের চাষি খাদেমুল জানান, এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজবীজ তৈরিতে খরচ হয় ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা। আর বীজ পাওয়া যায় ১০০ কেজিরও বেশি। চাহিদা ও দাম ভালো থাকলে দেড় থেকে তিন লাখ টাকার বীজ বিক্রি করা যায়। রোপণ মৌসুমে প্রতি কেজি পেঁয়াজবীজ বিক্রি হয় দুই হাজার ৫০০ থেকে তিন হাজার টাকা দরে।  চারা রোপণের ৫ থেকে ৬ মাসের মধ্যে জমি থেকে বীজ সংগ্রহ করা যায়। দেশি পেঁয়াজের গড় ফলন বিঘাপ্রতি ৩০ থেকে ৪০ মণ হলেও ভারতীয় সুখ সাগর পেঁয়াজে বিঘাপ্রতি ফলন পাওয়া যায় ১৫০ থেকে ২০০ মণ।

বিশ্বনাথপুরের হাফিজুল বলেন, ‘আগে আমরা পেয়াজ মৌসুমে চোরাকারবারিদের মাধ্যমে ভারত থেকে এই বীজ সংগ্রহ করতাম। তখনও আমাদের এখানে বীজ তৈরি শুরু হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই  চোরাকারবারিদের কাছ থেকে বীজ নিয়ে বপন করতাম। এখন আমাদের এলাকার চাষিরাই বীজ তৈরি করায় আর ভারত থেকে সংগ্রহ করতে হয় না।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. আখতারুজ্জামান জানান, এক সময় এই বীজ ভারত থেকে চোরাই পথে আসতো। কৃষি বিভাগের প্রযুক্তি নিয়ে কৃষকরা নিজেরাই উৎপাদন করে ভালো দাম পাচ্ছেন। এই পেঁয়াজ সংরক্ষণ নিয়ে গবেষণা করছেন বাংলাদেশ কৃষি  ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা। সফল হলে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে দেওয়া হবে বীজটি।

(ঢাকাটাইমস/২৬এপ্রিল/প্রতিবেদক/এআর)