‘বঙ্গবন্ধুর নাম ভাঙিয়ে ফায়দা লুটলে বয়কট করুন’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৬ এপ্রিল ২০১৯, ১৯:৪৩

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম ভাঙিয়ে এখন অনেকেই ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে। এদের চিহ্নিত করে বয়কট করার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ. কে. আব্দুল মোমেন। এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু প্রেমিকদের সজাগ থাকারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের কাজের সঙ্গে যদি কেউ জড়িত হন তাহলে তার বা তাদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি হিসেবে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।’

শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় গণগ্রন্থাগারের ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে ‘বর্তমান সরকার মুজিবনগর সরকারের ধারাবাহিক সরকার’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষের ধারাবাহিক অনুষ্ঠানমালার অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার শত্রুকেও সম্মান দিতেন। এজন্য তিনি আশা প্রকাশ করেন, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই একে অন্যকে সম্মান করবে।

মোমেন বলেন, ‘স্বাধীনতার চেতনা হলো সেই চেতনা যেখানে আমরা সহমর্মিতা সৃষ্টি করব। আমরা যে পথে হাঁটছি, সে পথে হাঁটলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত হবে। বঙ্গবন্ধুর জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি বৈশিষ্ট্য। একটি হলো ন্যায্য অধিকারের জন্য সংগ্রাম এবং অপরটি হলো স্বাধীন সার্বভৌম দেশের জন্য সংগ্রাম ও বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভালো কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘জেলখানার রোজনামচা’ গ্রন্থ দু’টি প্রকাশ করা এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সম্প্রতি বঙ্গবন্ধুর ওপর গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টগুলোও দু’টি পর্বে প্রকাশ করা হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বইগুলো পড়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২০১৯ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে উদযাপন করবে। তিনি বলেন, ২০২১ সালে আমরা স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন করব। বিদেশে বাংলাদেশের সব মিশনকে এ বিষয়ে ইতোমধ্যে জানানো হয়েছে। আমাদের দায়িত্ব হলো এ দু’বছর জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে জানা, বাংলাদেশকে জানা, বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্য সভা, সমিতি, ওয়ার্কশপ, কনসার্ট ও লেখালেখির মাধ্যমে জনগণকে জানানো। কারণ, বঙ্গবন্ধু এদেশে সৃষ্টি হয়েছিলেন বলেই আমরা একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের অধিকারী হয়েছি।

(ঢাকাটাইমস/২৬এপ্রিল/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

ট্রেনে ঈদযাত্রা: ৮ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি শুরু

ঢাকায় কর দিয়ে ২৬৮০ বিয়ে 

সংরক্ষিত আসনের এমপিদের মধ্যেও সংখ্যায় এগিয়ে ব্যবসায়ীরা: সুজন

মানবাধিকার ও ভোক্তা অধিকার রক্ষায় গণমাধ্যমের ভূমিকা জরুরি: ড. কামাল উদ্দিন

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে রেলকে গড়ে তুলতে হবে: রেলমন্ত্রী

ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

জিম্মি নাবিকদের মুক্তির আলোচনা অনেকদূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ডিএনসিসি কার্যালয় সরানোর মধ্য দিয়ে কারওয়ান বাজার স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু 

বিএসএমএমইউ উপাচার্যের দায়িত্ব নিলেন দীন মোহাম্মদ, বললেন ‘কোনো অন্যায় আবদার শুনব না’

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :