সরকারি নির্দেশ অমান্য করে চার স্কুলে পরীক্ষাগ্রহণ

এম. মনিরুজ্জামান, রাজবাড়ী
 | প্রকাশিত : ২৬ এপ্রিল ২০১৯, ২১:০২

সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রথম মূল্যায়ন পরীক্ষার নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করাসহ রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে চারটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মঙ্গলবার পরীক্ষা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি জানাজানির পর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ৩২টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে সঠিক জবাব প্রদানের জন্য নোটিশ দেন।

জানা গেছে, মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যায়ে সরকারিভাবে দুটি পরীক্ষার নিয়ম চালু রয়েছে। সে নিয়মের তোয়াক্কা না করে বালিয়াকান্দি উপজেলার বালিয়াকান্দি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, জামালপুর ইউনিয়নের নটাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, নলিয়া শ্যামা মোহন ইনস্টিটিউশন ও নবাবপুর ইউনিয়নের মাজবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রথম মূল্যায়ন পরীক্ষার নামে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছে।

বালিয়াকান্দি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্র নাম না প্রকাশের শর্তে জানায়, তার কাছ থেকে বকেয়া বেতন নেয়াসহ পরীক্ষা বাবদ দুই শত টাকা ফি নেয়া হয়েছে।

নাম প্রকাশের শর্তে ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্র জানায়, প্রথম মূল্যায়ন পরীক্ষার জন্য দেড়শ টাকা নেয়া হয়েছে। তার মতো সবাইকে বকেয়া পাওনাদি পরিশোধ করাসহ পরীক্ষায় অংশ নিতে হচ্ছে।

৭ম শ্রেণির ছাত্র জানায়, তার কাছ থেকে একশত ৫০ টাকা পরীক্ষার ফি নেয়া হয়েছে। এছাড়াও বকেয়া বেতন নেয়া হয়েছে।

একজন অভিভাবক জানান, পরীক্ষার ফিসহ বেতন নেয়া হয়েছে। পরীক্ষা নেয়ার নিয়ম না থাকলেও বাধ্য হয়েই অন্যায়কে প্রশয় দিতে হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।

নটাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম বলেন, ‘আমি শুধু অষ্টম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিয়েছি।

মাজবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছমির উদ্দিন পরীক্ষাগ্রহণের কথা অস্বীকার করেন।

বালিয়াকান্দি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কুতুব উদ্দিন মোল্যা বলেন, ‘স্কুলে প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। পরীক্ষা বাবদ ১৫ টাকা এবং বকেয়া বেতন আদায় করা হয়েছে। তবে সবাইতো আর টাকা দেয়নি। এটা মূল্যায়ন পরীক্ষা।’

বালিয়াকান্দি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী এজাজ কায়সার বলেন, ‘আমি শুনেছি বালিয়াকান্দি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, নলিয়া শ্যামা মোহন ইনস্টিটিউশন, নটাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় ও মাজবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। তারপরও ৩২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে নোটিশ পাঠানো হয়েছে পরীক্ষার বিষয়ে সঠিক জবাব প্রদানের জন্য। জবাব পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুম রেজা জানান, ‘নিয়মের বাইরে গিয়ে পরীক্ষা গ্রহণ করে থাকলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

(ঢাকাটাইমস/২৬এপ্রিল/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :