আম খান সঙ্গে আঁটিও
শুরু হয়েছে আমের মৌসুম। সুস্বাদু ফল আম খেতে পছন্দ করেন না এমন লোক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আম খাওয়ার পর আঁটি ফেলে দেয় সবাই। প্রবাদ আছে, আমে-দুধে মিলে গেলে আঁটিটা গড়াগড়ি খায়। মানে আমের আঁটি নেহাতই তুচ্ছ ও অবহেলার। গবেষকরা বলছেন, আম তো বটেই আমের আঁটিও খুব উপকারী।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের গবেষণায় দেখা গেছে, আম খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। কিন্তু আমের বীজ খেলে তার প্রতিক্রিয়া পুরো ভিন্ন হয়। আমের আঁটি খেলে এই শর্করাই নিয়ন্ত্রণে থাকে। শুধু তাই নয়, আরও বেশ কয়েকটি রোগের ওষুধ আমের আঁটি।
# খুশকির সমস্যায় আমের আঁটি খুব উপকারী। আমের আঁটি শুকিয়ে গুঁড়ো করে তা মাথার ত্বকে লাগাতে পারেন। অথবা জলের সঙ্গে মাথায় ঘষুন। এতে খুশকি কমে। শুধু তাই নয়, আমের আঁটির গুঁড়ো মাথার ত্বককে শুষ্ক রাখতে সাহায্য করে। ফলে চুল ওঠার সমস্যাও অনেকটা নিয়ন্ত্রিত হয়।
# ওবেসিটি বা অতিরিক্ত ওজনের সমস্যা থাকলে কাঁচা আমের আঁটি খেতে পারেন। ফ্যাট বার্ন রুখতে আমের আঁটি অত্যন্ত কার্যকরী।
# ডায়ারিয়া হলে আমের বীজ শুকিয়ে গুঁড়ো করে, তা জলের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। ক্রনিক ডায়ারিয়া সারাতে
এটি খুবই কার্যকর।
# কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও কাঁচা আমের আঁটি খুবই কার্যকরী। নরম এই আঁটি কামড়েই খাওয়া যায়, তবে তা না পারলেও ক্ষতি নেই। কাঁচা আমের আঁটি শুকিয়ে গুঁড়ো করে দুধের সঙ্গে ব্যবহার করুন।
ঢাকা টাইমস/২৭এপ্রিল/একে