নির্যাতনের অভিযোগে বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে মেয়ের মামলা
এবার বাবা-মা ও কবিরাজসহ ছয়জনের নামে নির্যাতনের অভিযোগ করে থানায় মামলা করেছে মেয়ে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে বাবা শফিকুল ইসলাম ও কবিরাজ আ: সালামকে গ্রেপ্তার করে শনিবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার মাজপাড়া ইউনিয়নের রোকনপুর গ্রামে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, আটঘরিয়া উপজেলার মাজপাড়া ইউনিয়নের রোকনপুর গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে পারখিদিরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুলছাত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে চলতি বছরের ১১ মার্চ নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম থানার দায়েরকোল গ্রামের রিপনের সাথে বিয়ে দেন বাবা মা। এর পর ওই ছেলেকে অপছন্দ করায় মেয়ে বাড়িতে চলে আসলে বাবা-মায়ের অভিমান করে একই গ্রামের সোহানের সাথে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়ে তাকে বিয়ে করে। ২৩ এপ্রিল ঢাকার উদ্দেশ্যে বের হলে টেবুনিয়া বাজার থেকে তাদের পুলিশ আটক করে।
পরে আটঘরিয়া থানা পুলিশ উভয় পক্ষ নিয়ে মীমাংসা করে মেয়েকে তার বাবা-মায়ের হাতে তুলে দেয়। মেয়েকে বাড়ি নিয়ে গিয়ে লোহার শিকল দিয়ে হাত-পা বেঁধে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়। এক পর্যায়ে একই গ্রামের আ: সালাম নামে এক কবিরাজকে ডেকে এনে ক্ষতিকারক বিষ জাতীয় কবিরাজি ট্যাবলেট মুখে দিয়ে জিহ্বা পুড়ে যায়। এসময় মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে কবিরাজ তার হাতের আঙ্গুলে নখে সুচ দিয়ে আঘাত করে জখম করে।
এলাকাবাসীর কাছ থেকে পুলিশ খবর পেয়ে ২৫ এপ্রিল মেয়েটিকে উদ্ধার করে আটঘরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এসময় কবিরাজ আ: সালামকে আটক করে। পরের দিন এই মামলার প্রধান আসামি মেয়েটির বাবা শরিফুল ইসলামকে পুলিশ আটক করে।
আসামিদের ২৭ এপ্রিল (শনিবার) আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় আটঘরিয়া থানায় একটি মামলা হয়েছে।
আটঘরিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাজমুল হক বলেন, মেয়েকে নির্যাতনের অভিযোগে বাবা-মা, চাচা ও এক কবিরাজসহ ছয়জনের নামে মামলা হয়েছে। এর মধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২৭এপ্রিল/এলএ)