ইলিশ আহরণে প্রস্তুত মেঘনাপাড়ের জেলেরা

প্রকাশ | ২৯ এপ্রিল ২০১৯, ০৮:১৫ | আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০১৯, ০৮:৪১

শরীফুল ইসলাম, চাঁদপুর, ঢাকা টাইমস

আর মাত্র ৩৬ ঘণ্টা। দীর্ঘ দুমাসের নিষেধাজ্ঞা  শেষে মঙ্গলবার রাত ১২টার পর থেকে জেলেরা মেঘনায় নামবেন ইলিশসহ অন্য মাছ আহরণে। চাঁদপুর জেলার নিবন্ধিত ৫১ হাজার ১৯০ জন জেলে পরিবারও মাছ আহরণে প্রস্তুত। নৌকা ও জাল মেরামত এবং নতুন করে জাল তৈরিও শেষ। এখন নদীতে নামার অপেক্ষায় জেলেরা।

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত প্রায় ৯০ কিলোমিটার এলাকায় মার্চ-এপ্রিল দুই মাস ইলিশসহ সকল ধরনের মাছ আহরণ নিষিদ্ধ করে সরকার। এই সময় মাছ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও সরবরাহ আইনত দণ্ডনীয়। ‘জাটকা রক্ষা কর্মসূচি’ বাস্তবায়নে এই দুইমাস পদ্মা মেঘনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করেছেন জেলা টাস্কফোর্স।

সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের সাখুয়া গ্রামের নদীপাড়ের জেলেপাড়াগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, জেলেদের জাল ও নৌকা মেরামতে শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা।

রামদাসদী গ্রামের জেলে হাসান বেপারী জানান, সরকারি নিষেধাজ্ঞা সময়ে তারা নদীতে মাছ আহরণ করেন না। সরকার যেটুকু সহযোগিতা করে, তা দিয়ে তাদের সংসার চলে। নিষেধাজ্ঞা শেষ হলে মাছ আহরণে নামবেন তারা। সেজন্য জাল ও নৌকা প্রস্তুত করে রেখেছেন।

একই এলাকার আনোয়ার হোসেন রাঢ়ী ও শাহজাহান গাজী জানান, সরকার এই সময়ের জন্য ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত প্রত্যেক জেলেকে ৪০ কেজি করে খাদ্য সহায়তা হিসেবে যে চাল দেয়, সেটা তারা পেয়ে আসছেন। কিন্তু তাদের পেশা জেলে হওয়ার কারণে নিষেধাজ্ঞার সময়ে সময়ে অন্য কোন কাজে যোগদেন না। ১ মে থেকে মাছ আহরণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। যদি আল্লাহর ইচ্ছা থাকে তাহলে ইলিশ পাবেন এমন আশা-আকাঙ্খা তাদের।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকি বলেন, চাঁদপুরে জাটকা রক্ষা কর্মসূচিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে শতভাগ চেষ্টা চালানো হয়েছে। কিছু সংখ্যক জেলে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই নদীতে মাছ আহরণ করেছেন। তারা ছাড়া তালিকাভুক্ত জেলেসহ সব জেলেরা নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নদীতে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

(ঢাকাটাইমস/২৯এপ্রিল/প্রতিবেদক/এআর)