সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি লাঘবে ঢাবির উদ্যোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০১৯, ১৬:৫৫ | প্রকাশিত : ২৯ এপ্রিল ২০১৯, ১৬:৫১
বিভিন্ন দাবিতে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

অধিভুক্ত সাতটি কলেজের শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি লাঘব ও সেশনজট নিরসনের উদ্যোগ নিচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। এক্ষেত্রে বিশেষ পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে রবিবার এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের দাবি পর্যালোচনা, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজের বিকেন্দ্রিকরণ, শিক্ষার্থীদের সেশনজট নিরসন ও সার্বিক শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সোমবার ঢাবি জনসংযোগ দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমের সমস্যা স্ব-স্ব কলেজের অধ্যক্ষের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে নিষ্পত্তি হবে। তারা শিক্ষার্থীদের যেকোনো আবেদনের বিষয়ে তথ্য উপাত্ত যাচাই করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত ডেস্কে (ডেডিকেটেড ডেস্ক) পাঠাবেন। পরীক্ষা/ভর্তি/ফলাফল/রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য শিক্ষার্থীরা স্ব-স্ব কলেজর অধ্যক্ষ/কলেজ অফিস থেকে জানতে পারবেন। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে অধ্যক্ষ/কলেজ অফিস বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত কলেজের ডেডিকেটেড ডেস্কের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডেপুটি রেজিস্ট্রারের সঙ্গে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ করবেন। কোনো শিক্ষার্থীর কোনো তথ্যের জন্য দরখাস্ত দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো অফিসে আসতে হবে না।

ঢাবি জানায়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেসব শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত হয়েছে তাদের ভোগান্তি লাঘব ও সেশনজট নিরসনকল্পে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে বিশেষ পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। নম্বর স্থগিত ও সর্বোচ্চ দুই বিষয়ে অকৃতকার্য হওয়া শিক্ষার্থীরা শর্তসাপেক্ষে পরবর্তী শ্রেণিতে (প্রিলিমিনারি/ মাস্টার্স শেষপর্ব) ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে তবে সংশ্লিষ্ট শ্রেণির চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহনের পূর্বে পূর্ববর্তী শ্রেণির অকৃতকার্য বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। যে সব শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে তাদেরও বিশেষ বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হবে।

এছাড়া পরীক্ষার ফলাফল দ্রুত প্রকাশ, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উত্তরপত্র মূল্যায়ন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের নিকট জমা, একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়নসহ বিভিন্ন কাজে গতি আনতে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

এছাড়া মৌখিক পরীক্ষা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে প্রতি কলেজে ভাইভা-বোর্ড গঠন করা হবে। একইভাবে ব্যবহারিক পরীক্ষাও বিকেন্দ্রীকরণ নীতিতে নেয়া হবে।

আগামী এক বছরের মধ্যে পরীক্ষক বা বিভাগীয় প্রধান সকল পরীক্ষার নম্বর অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাবেন। পরে উত্তরপত্র মূল্যায়নের ক্ষেত্রে ওএমআর পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে।

সভায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন ও অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আজিজ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, সাত কলেজের অধ্যক্ষবৃন্দ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বাহালুল হক চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/২৯এপ্রিল/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :