রাজিব-দিয়ার মৃত্যুর মামলায় প্রথম তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য
বাসচাপায় রাজধানীর শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী রাজিব-দিয়ার মৃত্যুর মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা রিয়াদ আহমেদের সাক্ষ্য শেষে আগামী ৬ মে পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক করেছে আদালত।
সোমবার এ সাক্ষীকে পক্ষের আইনজীবীরা অবশিষ্ট জেরার পর তা শেষ হলে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন।
সাক্ষী রিয়াদ ক্যান্টনমেন্ট থানায় এসআই হিসেবে কর্মরত থাকালে মামলাটি প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে তদন্ত করেন। ওই সম্পর্কেই তিনি সাক্ষ্য দিয়েছেন।
মামলাটিতে গত ১১ ফেব্রুয়ারি এ সাক্ষী সাক্ষ্য দেয়া শুরু করেন। ওইদিন জবানবন্দির পর আংশিক জেরা হয়। এরপর গত ১৮ মার্চ আরও জেরা হয়। ওইদিন জেরা শেষ না হওয়ায় ২৯ এপ্রিল জেরার দিন ঠিক করা হয়।
এনিয়ে মামলাটিতে ২৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলো। গত বছর ৪ নভেম্বর থেকে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। মামলাটিতে মোট ৪১ জন সাক্ষী রয়েছে।
মামলাটিতে আসামি জাবালে নুরের ঘাতক বাসের চালক মাসুম বিল্লাহ, হেলপার মো. এনায়েত হোসেন ও চালক মো. জোবায়ের সুমন কারাগারে রয়েছেন। মামলার অপর দুই আসামি বাস মালিক মো. জাহাঙ্গীর আলম ও হেলপার মো. আসাদ কাজী পলাতক রয়েছেন। মামলার অপর আসামি ঘাতক বাসের মালিক শাহাদাত হোসেন আকন্দের অংশের বিচার হাইকোর্টের আদেশে স্থগিত রয়েছে।
মামলায় গত বছর ২৫ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন। এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশ।
মামলায় বলা হয়, গত ২৯ জুলাই জাবালে নূর পরিবহনের দুইটি গাড়ি বেপরোয়াভাবে চালিয়ে একটি বাস জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভারের ঢালে রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ১৪/১৫ জন ছাত্রছাত্রীর উপর তুলে দেয়। যার কারণে ১৩/১৪ জন ছাত্রছাত্রী গুরুত্বর আহত হয়। যাদের মধ্যে ওই কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম ও বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আব্দুল করিম রাজীব মারা যায়। ২৯ জুলাই দিবাগত রাতে ক্যান্টনমেন্ট থানায় নিহত একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম এ মামলা দায়ের করেন।
(ঢাকাটাইমস/২৯এপ্রিল/আরজেড/জেবি)