চিকিৎসকদের কর্মস্থলে উপস্থিত থাকা আবশ্যক: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ৩০ এপ্রিল ২০১৯, ১৯:০৯

চিকিৎসকদের কর্মস্থলে উপস্থিত থাকা আবশ্যক উল্লেখ করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘কর্মস্থলে উপস্থিত না থাকলে দুর্নাম হয়। সম্প্রতি চিকিৎসক উপস্থিত না পাওয়ায় নড়াইল-২ আসনের সাংসদ মাশরাফি বিন মোর্ত্তজার একটি ক্ষোভ প্রকাশের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর মন্ত্রীর এ বক্তব্য এলো।

মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ব¦বিদ্যালয়ের ২২তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এ সময় জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী চিকিৎসাসেবা প্রদানের জন্য চিকিৎসক সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের চিকিৎসাসেবাকে এমন জায়গায় নিয়ে যেতে হবে যাতে করে রোগীরা আর দেশের বাইরে না যায়, বরং বিদেশ থেকে রোগীরা বাংলাদেশে চিকিৎসাসেবা নিতে আসতে উদ্ধুদ্ধ হয়।’

চিকিৎসক সংকট কাটাতে ‘কিছু দিনের মধ্যেই পাঁচ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ করা হবে’ বলেও জানান মন্ত্রী।

চিকিৎসাসেবা, শিক্ষা ও গবেষণাকে আন্তর্জাতিক মানের উন্নীত করার অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ব¦বিদ্যালয়ের ২২তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ২০১৯ উদযাপিত হয়। দেশের প্রথম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দিনটি নানা কর্মসূচির মাধ্যমে পালন করা হয়।

এর মধ্যে ছিল সকাল ৮ আটটার সময়ে বি ব্লকে বঙ্গবন্ধুর ম্যূরালে পুষ্পস্তবক অপর্ণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ, সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন, সকাল ৮টা ২০ মিনিটে পায়রা ও বেলুন উড়ানো, সকাল ৮টা ২০ মিনিটে র‌্যালি উদ্বোধন, সকাল ১০টায় বৈজ্ঞানিক অধিবেশন, দুপুর ১২টায় আলোচনা সভা এবং বিকাল ৩টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

মঙ্গলবার সকালে বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য কনক কান্তি বড়–য়ার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর ম্যূরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন বিএসএমএমইউয়ের সর্বস্তরের শিক্ষক, চিকিৎসক, ছাত্রছাত্রী, কর্মকর্তা, নার্স-ব্রাদার, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, টেকনিশিয়ান, কর্মচারীবৃন্দ। বঙ্গবন্ধুর ম্যূরালে বিএসএমএমইউয়ের শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। উপাচার্য এরপর একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালির শুভ উদ্বোধন করেন। র‌্যালিটি এ ব্লকের সামনে বটতলা থেকে শুরু হয়ে টিসসি মোড় হয়ে পুনরায় বটতলা এসে সমাপ্ত হয়। সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে উপাচার্য নক কান্তি বড়–য়া উপস্থিত সকলকে বিএসএমএমইউকে চিকিৎসা সেবা, শিক্ষা ও গবেষণাকে আন্তর্জাতিক মানের উন্নীত করতে নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য যথাযথ পালনের আহ্বান জানান। তিনি বিএসএমএমইউকে সকল ক্ষেত্রে বিশ্বমানে উন্নীত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

পরে সকাল ১০টায় শহীদ ডা. মিলন হলে বিএসএমএমইউয়ের প্রথম উপাচার্য এম এ কাদেরীকে উৎসর্গ করে “বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জনসমূহ ও স্বপ্ন” শীর্ষক বৈজ্ঞানিক অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর একই স্থানে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিকাল তিনটায় অডিটোরিয়াম, এ ব্লকের অডিটোরিয়ামে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ২২তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপিত হয়।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান এমপি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আ. ফ. ম. রুহুল হক এমপি, কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী। সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ইকবাল আর্সলান, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের মহাসচিব ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এম এ আজিজ। সভাপতিত্ব করেন বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য কনক কান্তি বড়–য়া। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএসএমএমইউয়ের উপ-উপাচার্য শহীদুল্লাহ সিকদার। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য সাহানা আখতার রহমান, উপ-উপাচার্য মুহাম্মদ রফিকুল আলম, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান। এছাড়াও সম্মানিত শিক্ষক, চিকিৎসক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, নার্স, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও কর্মচারীদের পক্ষ থেকে স্ব স্ব প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।

ঢাকাটাইমস/৩০এপ্রিল/এএ/ইএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :