চুয়াডাঙ্গায় অপহরণ মামলায় একজনের যাবজ্জীবন

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ৩০ এপ্রিল ২০১৯, ২২:৩৫

চুয়াডাঙ্গায় ভুয়া পুরহিত সেজে স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ, ডাকাতির প্রস্তুতি ও বিস্ফোরকের আলাদা তিনটি মামলায় রাজিব শেখ নামে একজনকে যাবজ্জীবন ও আটজনকে সাত বছর করে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার বিকালে চুয়াডাঙ্গার জেলা ও দায়রা জজ ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ রায় দেন।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত রাজীব শেখ ফরিদপুর জেলার শিবরামপুর গ্রামের শহিদুল শেখের ছেলে।

এছাড়া ডাকাতির প্রস্তুতি ও বিস্ফোরকের দুটি মামলায় ১৪ বছর করে সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মহালয়া গ্রামের আজিবর আলীর দুই ছেলে কুরবান আলী ও লোকমান আলী, একই গ্রামের তরিকুল ইসলাম, গোপালপুর গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিক, কোটচাঁদপুর উপজেলার রুদ্রপুর গ্রামের লাল চাঁদ, সোহানুর রহমান জনি, আকিমুল ইসলাম ও লালমনিরহাট জেলার ভাটিবাড়ি গ্রামের শহিদুল ইসলাম সজিব।

চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শামসুজ্জোহা জানান, ফরিদপুরের গোয়াল চামট গ্রামের এক পুরহিত তার স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে নিয়ে ২০১৬ সালে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার বিষ্ণুপুর গ্রামে বেড়াতে আসেন। ১৬ অক্টোবর বিকালে রাজিব শেখ নামে এক বখাটে পুরহিত সেজে ওই পুরহিতের স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

এ ঘটনার পরদিন ওই পুরহিত দামুড়হুদা থানায় মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ এনে রাজিব শেখকে আসামি করে মামলা করেন। দামুড়হুদা থানা পুলিশ এ মামলার তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ১৭ নভেম্বর একমাত্র আসামি রাজিব শেখকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক জিয়া হায়দার আলোচিত এ মামলায় মোট ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন। পরীক্ষা নিরীক্ষায় একমাত্র আসামি রাজিব শেখকে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন।

এদিকে, চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রবিউল ইসলাম ডাকাতির প্রস্তুতি ও বিস্ফোরকের দুটি মামলায় আটজনের প্রত্যেককে ৭ বছর করে ১৪ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন।

চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) এনামুল হক জানান, ২০১৭ সালের ২৯ আগস্ট রাতে সদর উপজেলার হিজলগাড়ি গ্রাম থেকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে কুরবান আলী, লোকমান আলী, তরিকুল ইসলাম, আবু বক্কর সিদ্দিক, লাল চাঁদ, সোহানুর রহমান জনি, আকিমুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলাম সজিবকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি রিভলবার ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম।

ঘটনার রাতেই গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আশরাফুল ইসলাম বাদী হয়ে সদর থানায় ডাকাতির প্রস্তুতি, অস্ত্র ও বিস্ফোরকের তিনটি মামলা করেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক জগদীশ বসু তদন্ত শেষে একই বছরের ১৪ নভেম্বর গ্রেপ্তার আটজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

আদালত এ মামলায় মোট ১৮ জনের সাক্ষ্য পরীক্ষা শেষে ডাকাতির প্রস্তুতি ও বিস্ফোরক মামলায় প্রত্যেকের ৭ বছর করে ১৪ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন। এছাড়া প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। রায় ঘোষণার সময় শহিদুল ইসলাম সজিব ও আবু বক্কর পলাতক ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/৩০এপ্রিল/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :