হাসিমুখের মুকুটে আরেকটি পালক

আরিফ হাসান, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০১ মে ২০১৯, ১০:৩৯ | প্রকাশিত : ০১ মে ২০১৯, ১০:৩৬

দীর্ঘ সাত বছরের পথচলায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করা ‘হাসিমুখ সমাজ কল্যাণ সংস্থা’র মুকুটে যুক্ত হলো আরও একটি নতুন পালক। এবার সেরা সংগঠন হিসেবে সংস্থাটিকে ‘শের-ই-বাংলা একে ফজলুল হক স্মৃতি সম্মাননা-২০১৯’ দিয়েছে ‘ইউনাইটেড মুভমেন্ট ফর হিউম্যান রাইটস’ নামে একটি সমাজসেবী প্রতিষ্ঠান।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সেগুনবাগিচার আখতার অডিটরিয়ামে আয়োজিত শের-ই-বাংলার মৃত্যু বার্ষিকী, জীবন-কর্ম শীর্ষক আলোচনা সভা ও গুণীজন সংবর্ধণা অনুষ্ঠানে হাসিমুখকে এই সম্মাননা দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সংগঠনটির স্বেচ্ছাসেবকদের হাতে সম্মাননাটি তুলে দেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি আবদুস সালাম মামুন।

এ সময় সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন ভাষা সৈনিক মো. রেজাউল করিম, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও বিশিষ্ট অভিনেতা পীরজাদা শহিদুল হারুন, বাংলাদেশ আর্থোপেডিক সোসাইটির প্রেসিডেন্ট মো. ফারুক রেজা আওলাদ এবং ‘ইউনাইটেড মুভমেন্ট ফর হিউম্যান রাইটস’-এর চেয়ারম্যান ও সংস্কৃতিজন এড. লুৎফুল আহসান বাবুসহ অনেকে।

এর আগে ২০১৭ সালে এই ‘ইউনাইটেড মুভমেন্ট ফর হিউম্যান রাইটস’ থেকেই ‘মাদার তেরেসা অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছিলেন ‘হাসিমুখ সমাজ কল্যাণ সংস্থা’র প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক নুসরাত একা। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নানা অধিকার ও সুযোগ সুবিধা প্রতিষ্ঠায় নিরলস কাজ করা এবং সমাজ সেবায় বিশেষ অবদান রাখায় তাকে এই সম্মাননা দেয়া হয়েছিল।

গত সাত বছর ধরে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে ‘হাসিমুখ সমাজ কল্যাণ সংস্থা’। এ লক্ষে তারা ‘হাসিমুখ’ নামের বৈকালিক স্কুলটি পরিচালনা করেন। শুক্রবার বাদে প্রতিদিন বিকাল চারটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত চলে স্কুলটির কার্যক্রম। এখানকার দেড় শতাধিক বাচ্চার মাঝে শিক্ষার আলো ছড়াতে প্রতিদিনই নিরলস সেবা দিয়ে যাচ্ছেন এক ডজনের বেশি উদ্দমী স্বেচ্ছাসেবক।

লেখাপড়ার পাশাপাশি শিক্ষার সব উপকরণও বাচ্চারা এই সংগঠন থেকে পায়। এছাড়া বাচ্চাদের কারিগরি জ্ঞানে দক্ষ করে তুলতে সংস্থাটি থেকে একটি কম্পিউটার ল্যাবও পরিচালনা করা হয়। প্রতিদিন সেখানে বাচ্চাদের আইটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেন একটি দক্ষ আইটি টিম।

এছাড়া দেশের গৌরবময় ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে বাচ্চাদের পরিচিত করাতে ২১ ফেব্রুয়ারি, ২৬ মার্চ ও ১৬ ডিসেম্বরের মতো জাতীয় দিবসগুলো প্রতি বছর ঘটা করে পালন করে সংগঠনটি। পালন করা হয় পহেলা বৈশাখ এবং পহেলা ফাল্গুনও।

দীর্ঘদিন পরিবাগ ওয়াবদা কোয়ার্টারের সামনের রাস্তায় স্কুলটির কার্যক্রম চললেও বাচ্চাদের নানাবিধ নিরাপত্তা বিবেচনায় সম্প্রতি সেটির স্থান পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমানে ৫৪/১, নর্থ সার্কুলার রোড, আকলিমাবাগ, ধানমন্ডিতে অবস্থিত মেহেরুন্নেসা গালর্স স্কুল অ্যান্ড কলেজে চলে হাসিমুখের কার্যক্রম।

ঢাকাটাইমস/১ মে/এএইচ

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :