৩০ হাজার টাকার জন্য ছুরিকাঘাতে ব্যবসায়ীর স্ত্রী খুন

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে ব্যবসায়ী আবুল কাশেমের বাসায় ঢুকে তার স্ত্রী রোকসানা আক্তার মনির কাছে ৩০ হাজার টাকা চেয়েছিলেন মো. সোহেল। রোকসানা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ব্যাগে থাকা চাকু ও খেলনা পিস্তল দিয়ে ভয় দেখান সোহেল। মেরে ফেললেও টাকা দিবে না জানালে সঙ্গে সঙ্গে ব্যাগে থাকা চাকু দিয়ে রোকসানাকে উপর্যপুরি আঘাত করেন সোহেল। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর বাসায় আগুন ধরিয়ে দেন।

গ্রেপ্তারের পর পুলিশকে দেওয়া প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে একথা জানিয়েছেন মো. সোহেল।

বুধবার দুপুরে কোতোয়ালি থানায় আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব বিষয় জানান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম।
বুধবার ভোররাতে কর্ণফুলী থানার মইজ্জারটেক এলাকা থেকে সোহেলকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার সোহেল নিহত রোকসানার স্বামী আবুল কাশেমকে মামা ডাকতেন। সোহেল চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী ঈদ পুকুরিয়া এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে।

আমেনা বেগম জানান, সোহেল মূলত টাকার জন্য গিয়েছিলেন। একটি ব্যাগে চাকু ও খেলনা পিস্তল ছিল তার। ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করবে এমন পরিকল্পনা ছিল। পরে রোকসানা যখন টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান তখন রোকসানাকে ছুরিকাঘাত করে। রোকসানার মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর বাসা থেকে ল্যাপটপ, মোবাইল, তেল ও গমের ডিও এবং স্বর্ণালংকার ব্যাগে ভরে নেয়। পুলিশ জানায়, রোকসানাকে হত্যার পর খাটের উপর তার মরদেহ রেখে খাটে আগুন ধরিয়ে দেয়। রোকসানাকে ছুরিকাঘাত করার সময় বাসার কাজের মেয়ে এলে তাকে বাথরুমে নিয়ে আটকে রাখে। পরে ছেলে আবদুল আজিজ এলে তাকেও উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত করে সোহেল।

পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামরুজ্জামান জানান, হত্যার পর বাসা থেকে বের হওয়ার সময় আবদুস সোবহান নামে এক পথচারী বাধা দিলে তাকেও ছুরিকাঘাত করে সোহেল। সেখান থেকে পালিয়ে এসে খাতুনগঞ্জের আমির মার্কেট এলাকার নিউ পাক বিল্ডিংয়ে লুকিয়ে থাকে। সন্ধ্যায় খাতুনগঞ্জ থেকে বের হয়ে মইজ্জারটেক এলাকায় গিয়ে ১৮০০ টাকায় নতুন বাসা ভাড়া নেয় সোহেল। পরে ফোন করে স্ত্রীকে মইজ্জ্যারটেক এলাকায় আসতে বলে। সেখান থেকে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় সোহেল। 

সংবাদ সম্মেলনে উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এসএম মেহেদি হাসান, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মুহাম্মদ আবদুর রউফসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকাটাইমস/০১মে/ইএস