ইতালিতে সঞ্চারী সংগীতায়ন বিদ্যালয়ের বৈশাখী উৎসব

গুটি গুটি পায়ে বাংলা নববর্ষ এসে হাজির আমাদের দুয়ারে। প্রতি বছরের ন্যায় সব শ্রেণির বাঙালি এ দিনটিকে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে পালন করে যাচ্ছে, তার ব্যতিক্রম নয় ইতালির সঞ্চারী সংগীতায়ন বিদ্যালয়।

বাংলা নববর্ষকে ঘিরে পুরনো দুঃখ-গ্লানিকে ভুলে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

সঞ্চারী সংগীতায়নের কর্ণধার সুসমিতা সুলতানার প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় অনুষ্ঠান অতিথি ছিলেন এনটিভি ইউকে পরিচালক সারোয়ার বাবু, ইউরোপ ব্যুরো প্রধান ফারসো চৌধুরী, অল ইউরোপিয়ান বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এনটিভি ইতালী ব্যুরো প্রধান মনিরুজ্জামান মনির, বাংলা প্রেসক্লাব ইতালির সভাপতি শাওন আহমেদসহ ইতালিতে বসবাসরত বাংলাদেশিসহ ইতালিয়ান ও বিভিন্ন দেশের প্রবাসীরা।

অনুষ্ঠানে আরো অংশগ্রহণ করেন ইতালির বিভিন্ন আঞ্চলিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

এদিন ইতালির রোমস্ত সঞ্চারী সংগীতায়ন বিদ্যালয় ছিল লোকে লোকারণ্য। মেলায় উপস্থিত হয়েই দেখা গেছে লাল-সাদা শাড়ি, কামিজ আর পায়জামা-পাঞ্জাবি পরে ইতালিস্থ প্রবাসী বাঙলিরা ছুটছেন বিদ্যালয়ের দিকে। বিদ্যালয়ের কাছে পৌঁছাতেই কানে আসে বাংলা গানের সূর। দুয়ারের পাশে যেতেই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অতিথিদের আপ্যায়নের জন্য বাংলা ঐতিহ্যর মুড়ির মুয়া, মুড়লি, চিড়ার মুয়া, বাতাসা, মিষ্টিসহ বাহারি খাবার।

বিদ্যালয়ের চারিদিকে লোকে লোকারণ্য। সুবিশাল হলরুমে বসানো বাহারি ধরনের বাঙালি খাবারের পসরা সাজিয়ে বসেছেন রোমের বাংলাদেশি নারীরা।

নিজেদের সংস্কৃতির সঙ্গে সন্তানকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার এক বড় সুযোগ এই মেলা। বিদেশের মাঝে আপন সংস্কৃতিকে ধারণ করে একটা দিন কাটানো যায় এই মেলায়।

ভিন্ন ভাষা ও সংস্কৃতির মানুষের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো।

স্থানীয় শিল্পীদের বাংলা সংগীতের মূর্ছনা মেলা ছিল আনন্দ মুখর। নিয়মিত বিরতি দিয়ে পরিবেশিত হয় সঞ্চারী সংগীতায়নের শিক্ষার্থীদের নৃত্য।

পরিশেষে সঞ্চারী সংগীতায়ন বিদ্যালয়ের কর্ণধার সুসমিতা সুলতানা অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা করার জন্য উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

(ঢাকাটাইমস/২মে/এলএ)