খালেদার কয়লা খনি দুর্নীতি মামলায় চার্জ শুনানি পেছাল

প্রকাশ | ০২ মে ২০১৯, ২৩:০১ | আপডেট: ০২ মে ২০১৯, ২৩:১১

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার চার্জ শুনানি পিছিয়ে আগামী ১৬ মে ধার্য করেছে আদালত।

সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার বকশিবাজারস্থ অস্থায়ী এজলাসে ঢাকার ২ নম্বর বিশেষ জজ এএইচএম রুহুল ইমরান নতুন এ তারিখ ধার্য করেন।

এদিন শুনানিতে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর আইনজীবীরা বলেন, কারাকর্তৃপক্ষ অসুস্থতার জন্য খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। ওই কারণে তাকে আদালতে হাজির করা যায়নি। যেহেতু চার্জ শুনানি আসামির উপস্থিতিতে হতে হয়, তাই খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতে এদিন চার্জ শুনানি সম্ভব নয়।

এ সময় বিচারক এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবীর বক্তব্য জানাতে চাইলে তিনিও সহমত প্রকাশ করেন। শুনানি শেষে আদালত চার্জগঠনের শুনানি পিছিয়ে আগামি ১৬ মে ধার্য করেন।  

এর আগে গত ১ এপ্রিল খালেদা জিয়াকে কারাকর্তৃপক্ষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এর আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি একই আদালতে খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করতে প্রডাকশন ওয়ারেন্ট ইস্যু করেন।

মামলার অপর ৮ আসামি হলেন, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, একেএম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এসআর ওসমানী, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মইনুল আহসান, বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি ব্যবস্থাপনার নিয়জিত ঠিকাদর সুজু কোল মাইনিং গ্রুপ কনসোটিয়ামের পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ও হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন।

মামলায় জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মুহাম্মাদ মুজাহিদ, বিএনপি নেতা আব্দুল মান্নান ভূইয়া এবং সাইফুর রহমান, এমকে আনোয়ার ও এম শামসুল ইসলামও আসামি ছিলেন। তারা মারা গেছেন।

বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারে সময় ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম।

কনসোর্টিয়াম অব চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনকে (সিএমসি) বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের কয়লা উত্তোলনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা সিএমসির সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।

পরে এ মামলা দায়েরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ হাইকোর্টে রিট করেন খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট বেঞ্চ বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন। একই বছরের ৫ অক্টোবর আদালতে এ মামলায় চার্জশিট দেওয়া হয়।

ঢাকাটাইমস/০২মে/ইএস