সাতক্ষীরার ৩০ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে

সাতক্ষীরা প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৩ মে ২০১৯, ১৭:৩৫

ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে সাতক্ষীরায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। শুক্রবার সকাল থেকে সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। প্রচণ্ড গরম ও গুমোট ভাব লক্ষ্য করা গেছে। এরই মধ্যে বেড়িবাঁধের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলো যেকোনো মুহূর্তে ধসে যেতে পারে বলে খবর পাওয়া গেছে। কয়েক স্থানে বেড়িবাঁধ উপচে পানি উঠতে শুরু করেছে।

শ্যামনগরের গাবুরা ও পদ্মপুকুর এবং আশাশুনির প্রতাপনগর ও আনুলিয়া ইউনিয়নে বেড়িবাঁধগুলো ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে জানা গেছে। সেখানে মাঝে মাঝে বৃষ্টি হচ্ছে। বাতাসের গতিবেগও বেড়ে যাচ্ছে।

এদিকে জেলার ঝুঁকিপূর্ণ উপজেলা শ্যামনগর ও আশাশুনির ৩০ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে চলে এসেছে। ১৯৪টি সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি বিভিন্ন স্কুল কলেজ মাদ্রাসা, ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, মিলনায়তন খুলে রাখা হয়েছে। আশ্রয়গ্রহণকারীদের জন্য পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, মোট ১১৯টি মেডিকেল টিম এখন মাঠে রয়েছে। সিপিপির চার হাজার স্বেচ্ছাসেবকের সাথে জনপ্রতিনিধিদের কর্মী বাহিনী, যুব কেন্দ্রের সদস্যরা কাজ করছেন। পৃথকভাবে পুলিশও মাঠে রয়েছে। তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি কীভাবে ক্ষয়ক্ষতি কমানো যায় সে বিষয় নিয়ে কাজ করছেন। ফায়ার ব্রিগেড, কোস্ট গার্ড, আনসার সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছেন। জেলা সব উপজেলায় একটি করে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। সাতক্ষীরার ১৩ শ’ জনপ্রতিনিধি তাদের নিজ অবস্থান থেকে ফণী মোকাবেলায় সাধ্যমত কাজ করছেন।

জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল শুক্রবার বিকালে তার সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য দিয়েছেন।

ডিসি বলেন, ক্ষয়ক্ষতি সবচেয়ে যাতে কম হয় সেজন্য আমরা চেষ্টা করছি। সব এলাকায় লাল পতাকা তুলে মাইকিং করে জনগণকে সতর্ক করার কাজ চলছে।

প্রেস ব্রিফিংকালে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. আফম রুহুল হক, পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান এবং সিভিল সার্জন ডা. রফিকুল ইসলাম।

(ঢাকাটাইমস/০৩মে/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :