আম কুড়াতে যাওয়া শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা

প্রকাশ | ০৪ মে ২০১৯, ১৭:৩৮

নোয়াখালী প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নে আম কুড়াতে গিয়ে নিখোঁজ নাজমুন নাহার ঝুমু (১১) নামে এক স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকায় পরিবারের পক্ষ থেকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে করা হয়েছে। পরে লাশ ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

শনিবার বেলা ১১টার দিকে চরকাঁকড়ার ৩নং ওয়ার্ডের আলমের বাবার নতুন বাড়ি থেকে শিশু ঝুমুর লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত ঝুমুর ওই এলাকার আব্দুল হানিফের মেয়ে। সে স্থানীয় সমরত বানু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিলো।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র কারণে শনিবার ভোর থেকে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রচ- বেগে বাতাস শুরু হলে বাগানে আম ঝরে পড়ে। সকাল ৮টার দিকে মামাতো ভাই রাফি ও মামাতো বোন প্রমির সাথে বাড়ির পাশের বাগানে আম কুড়াতে যায় ঝুমুর। আম কুড়ানো শেষে অপর দুই জন বাড়িতে ফিরলেও ঝুমুর আর ফেরেনি। পরে পাশের সোনিয়া আক্তার নামের এক নারী বাগানের পাশের খালে ভেতের ঝুমুরকে পড়ে থাকতে দেখে বাড়িতে খবর দেয়। পরিবারের লোকজন এসে তার লাশ উদ্ধার করে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে।

নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) মো. ইলিয়াছ শরীফ জানান, প্রাথমিকভাবে শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতের শরীরের বিভিন্ন অংশে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে। ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ঢাকাটাইমস/০৪মে/ইএস