মনপুরায় বাঁধ ভেঙে তিন গ্রাম প্লাবিত

প্রকাশ | ০৪ মে ২০১৯, ১৯:৫৩

ভোলা প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ভোলার মনপুরা উপজেলায় ঘূর্ণীঝড় ফণীর প্রভাবে বাঁধ ভেঙে তিনটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে দুই সহ¯্রাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে শতাধিক ঘরবাড়ি ও প্রতিষ্ঠান।

এছাড়াও আরো কয়েকটি বাঁধ ভেঙে যাওয়ার হুমকিতে রয়েছে। ফলে আতঙ্কে রয়েছেন ওইসব এলাকার বাসিন্দারা।

শনিবার দুপুরে উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ফকিরের দোন এলাকায় নতুন বেড়িবাঁধটি ভেঙে গিয়ে হাজিরহাট ইউনিয়নের সোনারচর ও মনপুরা ইউনিয়নের ঈশ্বরগঞ্জ এলাকা প্লাবিত হয়। এছাড়াও হাজিরহাট ইউনিয়নের দাসেরহাট এলাকা প্লাবিত হয়। এতে ওই সকল এলাকায় দুই হাজারের বেশি বাসিন্দা পানিবন্দী হয়ে পড়েন।

এদিকে শুক্রবার দিবাগত রাতভর ফণীর তা-বে উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের দাসেরহাট এলাকায় জিন রফিকের বাড়ি, মৎস্য ঘাটের সালাউদ্দিনের মৎস্য আড়ত, হানিফ হাজির বাড়ি, আ. মালেকের বাড়ি, বাবুল মাতাব্বরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অফিসার্স ক্লাব, রফিকের বাড়ি, মনপুরা ইউনিয়নের বিচ্ছিন্ন কলাতলীর চরে কবির বাজারের হাসান পাটোয়ারীর দোকান, গিয়াস উদ্দিনের বাড়ি, ৩ নং উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের বিচ্ছিন্ন চরনিজামে মো. রফিক, হোসেন, আলমগীর, নবাব, কামরুল, মনজু, সেকান্তর, রাজীব, ইউসুফ, জাহাঙ্গীর ও দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের মোস্তফা, বাবুল পিটার, হারুনের ঘরসহ শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত হয়।

এছাড়াও উপজেলার মাস্টার হাটের পশ্চিম পাশের বেড়িবাঁধ, দক্ষিণ সাকুচিয়ার সূর্যমূখী বেড়িবাঁধ, হাজিরহাট ইউনিয়নের সোনার চর বেড়িবাঁধ হুমকির মুখে রয়েছে। যে কোন সময় বেড়িবাঁধগুলো ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

মনপুরা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আমানত উল্ল্যাহ আলমগীর জানান, ফণীর প্রভাবে প্রবল স্রোতে বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় বিস্তীর্ণ জনপদ স্বাভাবিকের চেয়ে ৪-৫ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে তিনটি গ্রামের দুই সহ¯্রাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পাউবোর কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড ডিভিশন-২ এর উপ-সহকারি প্রকৌশলী আবুল কালাম জানান, ফণীর প্রভাবে ৯০ মিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দ্রুত বাঁধ মেরামতের কাজ সম্পন্ন করার আশ্বাস দেন তিনি।

মনপুরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বশির আহমেদ জানান, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে ২০ টন চাল ও ৫০ হাজার টাকার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক চেয়ারম্যানদের ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে। ভাঙা বেড়িবাঁধ দ্রুত মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা হয়েছে। আশা করি দ্রুত বাঁধগুলো মেরামত করা হবে।

ঢাকাটাইমস/০৪মে/ইএস