পিরোজপুরে জোয়ারের পানিতে ১০ গ্রাম প্লাবিত

পিরোজপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৪ মে ২০১৯, ২১:০৩

ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকা পিরোজপুরের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ফণীর প্রভাবে দুদিন ধরে থেমে থেমে বর্ষণ এবং শনিবার সকাল থেকে কচা, বলেশ্বর ও পানগুছি নদীর পানি তিন থেকে পাঁচ ফুট বৃদ্ধি পাওয়ায় জোয়ারের পানিতে উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

শনিবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার চরবলেশ্বর, চন্ডিপুর, খোলপটুয়া, কলারন, পশ্চিম বালিপাড়া, কালাইয়া, টগড়া, চাড়াখালী, ভবানীপুর এবং পত্তাশী গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া কঁচা নদীর কয়েকটি স্থানে বেড়িবাঁধ না থাকায় এবং খাল দিয়ে নদীর পানি আশপাশের গ্রামগুলোতে ঢুকে পড়ে। এতে ফসলি জমি, বাগান বাড়ি, পানের বরজ, মাছের ঘের তলিয়ে যায়।

এছাড়া, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে এ উপজেলায় বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটে। শুক্রবার বিকাল ৩টা থেকে শনিবার বিকাল পর্যন্ত প্রায় ২৩ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। সকাল থেকে স্থানীয় নদ নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চাইতে ৩-৫ ফুট বেড়েছে। শুক্রবার বৈরী আবহাওয়ার কারণে মাছ ধরা সকল ট্রলার ও নৌকা নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে।

এদিকে, দুর্যোগ মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসন ১৮টি আশ্রয় কেন্দ্র খুলে। তবে চরাঞ্চল এবং নদী তীরবর্তী এলাকার প্রায় ২৫ হাজার মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকায় শুক্রবার বিকাল থেকে অধিকাংশ মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নেয়।

টগড়া গ্রামের শিক্ষক নাসির উদ্দিন জানান, বেড়িবাঁধ না থাকায় নদীর পানি ঢুকে অনেক গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে অনেকের মাছের ঘের তলিয়ে যাওয়ায় মাছ চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুতির বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব আহমেদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাত থেকে রক্ষা পেতে আগাম প্রস্তুতি নেয়া হয়। স্থানীয় জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেয়ার জন্য সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/৪মে/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :