২০ বছরে বিএসএমএমইউতে ৫৩৯ রোগীর কিডনি প্রতিস্থাপন
১৯৯৯ সাল থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৩৯ জন রোগীর কিডনি প্রতিস্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। কিডনি প্রতিস্থাপনকৃত রোগীদের ৯৫ শতাংশ কমপক্ষে এক বছর, ৮২ শতাংশ কমপক্ষে পাঁচ বছর এবং ৭৮ শতাংশ কমপক্ষে ১০ বছর পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন বা বেঁচে রয়েছেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সাথে এটা সামঞ্জস্যপূর্ণ।
শনিবার ইপনা অডিটোরিয়ামে ‘রেনাল ট্রান্সপ্ল্যানটেশনস অ্যান্ড রিকনসট্রাকটিভ স্টেট অফ ২০১৯’ শীর্ষক সেমিনারে এক বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধে এসব তথ্য জানানো হয়। বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএসএমএমইউয়ের ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক হাবিবুর রহমান দুলাল।
সেমিনারে বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধে জানানো হয়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সাথে এটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। কিডনি দাতাদের মধ্যে মহিলাদের সংখ্যা ৬০ শতাংশ ও পুরুষদের সংখ্যা ৪০ শতাংশ।
দাতাদের বেশিরভাগের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে (৩৩.৮ শতাংশ)। বিএসএমএমইউয়ে কিডনি প্রতিস্থাপনে এক লাখ ৬০ হাজার টাকা থেকে প্রায় দুই লাখ ব্যয় হয়।
উপস্থাপিত প্রবন্ধে আরো বলা হয়, ১৯৯৯ সাল থেকে ২০১৯ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বিএসএমএমইউসহ দেশের বিভিন্ন চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানে এক হাজার ৭৬০ জন রোগীর কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছে। এরমধ্যে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত হয়েছে ৪০ জন রোগীর। এছাড়া কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছে ২০০৮ সালে ১১৬ জন, ২০০৯ সালে ১৪২ জন, ২০১০ সালে ১৫৭ জন, ২০১১ সালে ১১৪ জন, ২০১৩ সালে ১৪৫ জন, ২০১৪ সালে ১৩৮ জন, ২০১৬ সালে ১২২ জন, ২০১৭ সালে ১৪৫ জন এবং ২০১৮ সালে ১৩০ জন রোগীর।
বিএসএমএমইউসহ বিভিন্ন চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানে এ পর্যন্ত এক হাজার ৮০৩ জন রোগীর কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছে।
এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য বিএসএমএমইউয়ে কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছে ৫৩৯ জন রোগীর, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজিতে ৫২৯ জন রোগীর, কিডনি ফাউন্ডেশনে ৪৬২ জন রোগীর ও বারডেমে ১১৫ জন রোগীর।
সেমিনারে বিএসএমএমইউয়ের ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক হাবিবুর রহমান দুলাল জানান, বর্তমানে সংক্রামক ব্যধি ছাড়াও ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ কিডনি অকার্যকারিতার অন্যতম কারণ। কিডনি সুস্থ রাখতে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ভেজাল খাবার অবশ্যই প্রতিরোধ করতে হবে। ব্যাথা নাশক ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া যাবে না। যে কোনো সংক্রমণ হলে বা শরীরে ইনফেকশন শুরু হলে শুরুতেই চিকিৎসা নেয়াসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হতে হবে।
‘রেনাল ট্রান্সপ্ল্যানটেশনস অ্যান্ড রিকনসট্রাকটিভ স্টেট অফ ২০১৯’ শীর্ষক সেমিনারের প্রধান অতিথি ছিলেন বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া।
তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, রোবটিক সার্জারি এখন সময়েরই দাবি। বিএসএমএমইউয়ের ইউরোলজি বিভাগে রোবটিক সার্জারি চালুর জন্য বিএসএমএমইউ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা করা হবে।
সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন বিএসএমএমইউয়ের ইউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান একেএম খুরশিদুল আলম।
রোবটিক সার্জারি এবং জন্মগত ত্রুটিসহ বিভিন্ন জটিল সমস্যায় আক্রান্ত যৌনাঙ্গের চিকিৎসা বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভারতের ককিলাবেন দিরুবাই আম্বানি হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট-এর ইউরোলজিস্ট ডা. সঞ্জয় পান্ডে। সঞ্চালনা করেন অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ডা. কার্তিক চন্দ্র ঘোষ।
ঢাকাটাইমস/০৪মে/এএ/ইএস
সংবাদটি শেয়ার করুন
স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
স্বাস্থ্য এর সর্বশেষ
ঔষধি গাছ থেকে তিন শতাধিক ওষুধ তৈরি হচ্ছে ইরানে
কণ্ঠের সব চিকিৎসা দেশেই রয়েছে, বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন নেই: বিএসএমএমইউ উপাচার্য
এপ্রিল থেকেই ইনফ্লুয়েঞ্জা মৌসুম শুরু, মার্চের মধ্যে টিকা নেওয়ার সুপারিশ গবেষকদের
স্বাস্থ্য খাতে নতুন অশনি সংকেত অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ভাতা বাড়লো ইন্টার্ন চিকিৎসকদের
বিএসএমএমইউ বহির্বিভাগ ৪ দিন বন্ধ, খোলা থাকবে ইনডোর ও জরুরি বিভাগ
তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজ করতে বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিএসএমএমইউতে বিশ্বের সর্বোৎকৃষ্ট মানের চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে: ভিসি দীন মোহাম্মদ
ঈদের ছুটিতে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে যেসব নির্দেশনা মানতে হবে হাসপাতালগুলোকে
