তারেক-ফখরুলের বিরুদ্ধে এবি সিদ্দিকীর মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৫ মে ২০১৯, ১৬:২৪ | প্রকাশিত : ০৫ মে ২০১৯, ১৬:০১

পাঞ্জাবি ছেঁড়া ও মুজিব কোর্ট খুলে ফেলা এবং হত্যার হুমকির অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী। আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে মামলাটি গ্রহণ করে বংশাল থানাকে তদন্তের পর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে।

রবিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মো. নোমানের আদালতে বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী এ মামলার আবেদন করেন।

মামলার বাকি চার আসামি হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এবং দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আরও পাঁচজনকে মামলার অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

আলোচিত এবি সিদ্দিকীর দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল সকাল ৭টায় খালেদা জিয়ার নামে দায়ের করা একটি মামলায় হাজিরা দেওয়ার জন্য রামপুরা থেকে তাঁতীবাজার মোড়ে এসে নামেন। ওই সময় পেছন দিক থেকে ৩/৪ জন বাদীর পাঞ্জাবি টেনে ধরে এবং ছিঁড়ে ফেলে। তারা বাদীকে বলে, ‘তোকে পেয়েছি আর ছাড়া যাবে না। কারণ তুই আমাদের মা ও আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া ও বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে অনেকগুলো মামলা করেছিস। তোর একাধিক মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় আমাদের মা মুক্তি পাচ্ছে না। তাই তোকে আজ খুন করব। আমাদের বিএনপির তারেক রহমানের নির্দেশে ঊর্ধ্বতন নেতাদের হুকুমে তোকে প্রস্তাব দিচ্ছি, একমাসের মধ্যে মামলা তুলে নিবি। আর তা না করলে তোর পরিণতি ভয়ংকর হবে।’

এজাহারে বলা হয়, আসামিরা বাদীকে হুমকি দিয়ে আরও বলেন, একমাসের জন্য তোকে মুক্ত করে দিলাম। যদি স্বেচ্ছায় মামলা তুলে না নিস, তাহলে তোকে মরতে হবে। তোর সরকারও তোকে আমাদের হাত থেকে আর বাঁচাতে পারবে না। তোকে নুসরাতের মতো জ্বলন্ত আগুনে পুড়িয়ে মারব। যদি বাঁচতে চাস, কথাটি মনে রাখিস। মামলা প্রত্যাহার না করলে তোকে এমনভাবে খুন করব যে পৃথিবীর কেউ তোকে বাঁচাতে পারবে না।

এজাহারে বাদী আরও বলেন, এ কথা বলে দুর্বৃত্তরা তার মুজিব কোট খুলে নিয়ে যায় এবং বলে, তোর বাবার মার্কা মুজিব কোট খুলে নিয়ে গেলাম। শেখ মুজিবের জুলুমবাজ মুজিব কোট আর আমরা দেখতে চাই না। এই বলে আমার পকেটে থাকা ২২০০ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে আমাকে বলে, কোনো চিল্লাফাল্লা করবি না। এদিক-ওদিক দেখবি না, সোজা আদালতের দিকে চলে যা। আর আমরা যা বলেছি এই শর্ত ভঙ্গ করবি না। না হলে তোকে জাহান্নামে যেতে হবে— এটা যেন মনে থাকে।

বাদীপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী রওশন আরা শিকদার ডেইজি। তিনি দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরেয়ানা জারিরও আবেদন করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/০৫মে/বিইউ/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আদালত এর সর্বশেষ

সাবেক সচিব প্রশান্ত কুমারকে কারাগারে পাঠালেন আদালত

৩১ মার্চ পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম

বিচারপতির আসনে ছাদ বেয়ে পানি, বিচারকাজ বন্ধ ১৮ মিনিট

আগাম জামিন পেলেন অ্যাডভোকেট যুথিসহ চার আইনজীবী

জামিন নিতে এসে রায় শুনে পালিয়ে গেলেন হলমার্ক কেলেঙ্কারির আসামি

তিন মাসের মধ্যে সালাম মুর্শেদীকে গুলশানের বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ

হলমার্ক কেলেঙ্কারি: তানভীর ও তার স্ত্রীসহ নয়জনের যাবজ্জীবন

সুপ্রিম কোর্ট বারে মারামারি: নাহিদ সুলতানা যুথীর জামিন শুনতে নতুন বেঞ্চ নির্ধারণ

পি কে হালদারের ১৩ সহযোগীর সাজা বাড়ানোর আবেদন দুদকের

ড. ইউনূসের সাজা ও দণ্ড স্থগিতের আদেশ হাইকোর্টে বাতিল

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :