টাকার জন্য মাকে হত্যায় ছেলের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশ | ০৫ মে ২০১৯, ১৭:০৩

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

টাকার জন্য মা হনুফা বেগমকে হত্যা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার ছেলে মোবারকের মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছে আদালত।

রবিবার জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারক (বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ) বেগম চমন চৌধুরী আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

২০০৭ সালের ২৪ আগস্ট হাজারীবাগ থানাধানীর ১১০/৫, হাজারীবাগ রোডের বাসায় সাবেক ঢাকা সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নকর্মী হনুফা বেগমকে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর ২৭ আগস্ট নিহতের ভাই আব্দুর রশিদ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলার পর গ্রেপ্তার মোবারক আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।

মামলায় বলা হয়, বেকার মোবারক টাকার জন্য প্রায় তার মাকে মারধর করতো। ২০০৭ সালের ২৪ আগস্ট বিকালে মোবারক তার মায়ের কাছে কিছু টাকা চান। তার মা তাকে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি তার মাকে মারধর করে এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন। ২৭ আগস্ট সকালের দিকে আব্দুর রশিদ লোক মুখে শুনেন হনুফা বেগমের রুম বাহির থেকে তালা দেয়া এবং ঘর থেকে পঁচা গন্ধ বের হচ্ছে। তিনি তার বোন ও ভাগ্নেকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে স্থানীয় প্রাক্তন ওয়ার্ড কমিশনার হেদায়েত উল্লাহ ও অন্যানা ব্যক্তির সহায়তায় পুলিশ রুমের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে দুর্গন্ধ বিছানার ওপর অনেক মাছি দেখতে পান। পরে বিছানার ওপর থেকে কাপড় সরিয়ে হনুফা বেগমের লাশ দেখা যায়। ২/৩ দিন আগে যেকোনো সময় মোবারক সহযোগীদের নিয়ে হনুফাকে গলায় কাপড় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে বিছানার ওপর লাশ রেখে কাঁথা বালিশ ও অন্যান্য কাপড়-চোপড় দিয়ে ঢেকে রেখে রুমের দরজা বাহির থেকে তালা লাগিয়ে চলে যায়।

মামলার পর একই বছর ৪ নভেম্বর চার্জশিট দাখিল করেন হাজারীবাগ থানার এসআই ফারুক ভূঁইয়া। ২০০৮ সালের ২ মার্চ আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করে আদালত। মামলাটির বিচারকাজ চলাকালে আদালত ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সংশ্লিষ্ট আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মো. আনোয়ার শাহাদাত শাওন। আর আসামির পক্ষে ছিলেন কাজী সালাহ উদ্দিন আহম্মেদ।

(ঢাকাটাইমস/০৫মে/আরজেড/জেবি)