রমজানের পণ্য একসঙ্গে না কেনার আহ্বান ক্যাবের

প্রকাশ | ০৫ মে ২০১৯, ১৮:১০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

ইফতার ও সেহেরির উপকরণ যেমন ছোলা, চিনি, ডাল, তেল, পেঁয়াজ, রসুন, খেজুর ইত্যাদি পুরো রমজান মাসের জন্য একসঙ্গে না কেনার আহ্বান জানিয়েছে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। সংস্থাটির চট্টগ্রাম বিভাগ ও মহানগর কমিটির পক্ষ থেকে রবিবার এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।

বিবৃতিদাতারা হলেন- ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি এসএম নাজের হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, মহানগর সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম ও দক্ষিণ জেলা সভাপতি আবদুল মান্নান প্রমুখ।

বিবৃতিতে ক্যাব নেতারা বলেন, ‘বাজারে একশ্রেণির ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের বলে থাকেন একসঙ্গে মাসের বাজার করেন, দাম বেড়ে যাবে। কিছু স্টক করে রাখেন ইত্যাদি। ফলে সরবরাহ লাইনে সংকট তৈরি হলেই ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর সুযোগ পায়। তাই ব্যবসায়ীদের এ অপতৎপরতায় পা না দিয়ে মাসের বাজার একসঙ্গে না করে সপ্তাহের বাজার করা হলে ভোগ্যপণ্যের সরবরাহ লাইনে সংকট তৈরি হবে না।’

‘রমজান সামনে রেখে নগর ও বিভিন্ন উপজেলাসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে হাটবাজারে বিএসটিআই’র অনুমোদনহীন নকল খাদ্যপণ্যে সয়লাব, বিশেষ করে ঘি, মসলা, সেমাই, হোটেল রেস্তোরাঁয় নোংরা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভেজাল, পচা-বাসি খাবার পরিবেশন, ফরমালিন ও সার মিশ্রিত মাছ, ফলমূল-শাকসবজিতে ক্ষতিকর কেমিক্যাল মেশানো, ওজনে কম দেওয়া, গরুর মাংস বলে মহিষের মাংস বিক্রি, রাস্তার ওপর খোলা ইফতারি বিক্রি, বিএসটিআই এর সিল ছাড়া বাটখারা ব্যবহার করে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী সাধারণ মানুষের জনজীবন মারাত্মক হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে।’

বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘‘ফলে ও মাছে ফরমালিন, সার মিশ্রণ, শাকসবজিতে ফরমালিনসহ বিভিন্ন কেমিক্যাল মেশানোর কারণে বাজারের কোনো কিছুই এখন মানুষ নিরাপদে-নির্ভয়ে খেয়ে বাঁচার সুযোগ নেই। সে কারণে ভেজালকারী ও কেমিক্যাল মিশ্রণকারীরা সন্ত্রাসীদের থেকে ভয়ঙ্কর। তাদের মানব বিধ্বংসী তৎপরতার কারণে লাখো মানুষ অকালে মানবঘাতী কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করতে হচ্ছে; নতুবা সারাজীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণে বাধ্য হচ্ছে।’

‘অথচ এসব ভেজাল ও অনিয়ম দেখার দায়িত্বে নিয়োজিত সরকারি তদারকি সংস্থা বিএসটিআই, সিটি করপোরেশনের স্যানিটারি ইন্সপেক্টর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, কারখানা ও দোকান পরিদর্শন পরিদপ্তর ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজনের নীরবতার কারণে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এ ধরনের জঘন্য অপরাধে জড়িত হচ্ছে। একদিকে মুনাফা শিকারি কিছু ব্যবসায়ী ইচ্ছেমতো দাম বাড়িয়ে-কমিয়ে এবং সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করে ভোক্তাদের পকেট কাটছে। অন্যদিকে ভেজাল, ওজনে কারচুপিতে জনজীবন বিপন্ন। তাই এখন সময় এসেছে এসব অসাধু ব্যবসায়ী ও মজুতদারদের বাজারজাতকৃত পণ্য বয়কট করা ও তাদেরকে স্থানীয়ভাবে প্রতিহত করা।’

ক্যাব নেতারা দুস্থ-গরিবদের ইফতারসামগ্রী বিতরণের পরিবর্তে নগদ অর্থ বিতরণের আহ্বান জানান।

(ঢাকাটাইমস/০৫মে/জেবি)