বেসরকারি টিভির সংবাদে বাণিজ্যিক স্পন্সরের বিজ্ঞাপন প্রচারে নিষেধাজ্ঞা

সেপ্টেম্বর থেকে দেশের সব বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলো সংবাদ প্রচারের বিভিন্ন অংশে বাণিজ্যিক স্পন্সরের কোনও বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারবে না। ২০১১ সালে করা এ সংক্রান্ত একটি রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে উচ্চ আদালত এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের সব বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে এই রায় মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার একটি রিট আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি শশাংক শেখর সরকারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

শুনানিতে রিটের পক্ষে ছিলেন মাসুদ আহমেদ সাঈদ। তার সঙ্গে ছিলেন আবুল কাশেম ও শেখ তাহসান আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস। আর বেসরকারি টিভি চ্যানেল টোয়েন্টি ফোরের পক্ষে ছিলেন আসাদুল ইসলাম।

বেসরকারি টেলিভিশনগুলোয় সংবাদ প্রচারের বিভিন্ন অংশে বাণিজ্যিক স্পন্সরের বিজ্ঞাপন প্রচার প্রসঙ্গে হাইকোর্ট বলেন, ‘আমরা টিভির খবরগুলো দেখতে চাই স্বচ্ছতার সঙ্গে। কিন্তু সেখানে খবরগুলো যদি স্পন্সর হয়ে যায় তাহলে তো এই স্বচ্ছতা আর থাকলো না।’

পরে মাসুদ আহমেদ সাঈদ গণমাধ্যমকে জানান, বেসরকারি টিভিগুলোতে সংবাদ প্রচারের বিভিন্ন অংশে কোনও ধরনের বাণিজ্যিক স্পন্সরের বিজ্ঞাপন প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।

উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘যেমন ইসলামী ব্যাংক বাণিজ্য সংবাদ, অ্যাপোলো হাসপাতাল স্বাস্থ্য সংবাদ, এই ধরনের কোনও টাইটেল স্পন্সর করে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে কোনও সংবাদ আর পরিবেশন করা যাবে না।’

সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বিজ্ঞাপন নিলে সেই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে করা সংবাদের নিরপেবক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয় অভিযোগ এনে ২০১১ সালে এমএ মতিন নামের এক স্কুলশিক্ষক রিটটি দায়ের করেছিলেন।

ওই রিটকারীর মৃত্যুর পর ফারুক মো. হাসিব নামের একজন ব্যবসায়ী রিটের পক্ষভুক্ত হয়ে মামলার কার্যক্রম চলমান রাখেন। পরে ওই রিটের ওপর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি সব টেলিভিশন চ্যানেলের মালিকসহ মোট ২৪ জনকে বিবাদী করা হয়। ওই রিটের ওপর জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে আজ রায় দিল হাইকোর্ট।

ঢাকাটাইমস/০৬মে/ডিএম