স্বাগত রমজানুল মোবারক

প্রকাশ | ০৭ মে ২০১৯, ১১:০৫

আরিফুর রহমান

ত্যাগ ও সংযমের বার্তা নিয়ে হাজির হয়েছে পবিত্র মাহে রমজান। গতকাল দেশের আকাশে ১৪৪০ হিজরি সনের রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আজ শুরু হচ্ছে ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ রোজার সিয়াম সাধনা।

মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ মাসে মানবজাতিকে পথপ্রদর্শনের জন্য কোরআনুল কারিম দান করেন। এ মাস আত্মার পরিশুদ্ধি ও পরিতৃপ্তি অর্জনের মাস; আত্মিক ও চারিত্রিক শক্তি ফিরিয়ে আনার মাস; প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করার মাস; সর্বোপরি প্রকৃত মানুষ হওয়ার মাস।

মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার মধ্য দিয়ে ইবাদত-বন্দেগি করে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণের প্রশান্তি লাভ করবে মুসলমানরা। মর্যাদা ও মাহাত্ম্যের দিক দিয়ে আল্লাহ পবিত্র রমজানকে অভিষিক্ত করেছেন শ্রেষ্ঠত্বের শীর্ষস্থানে। হাজার রজনীর মধ্যে শ্রেষ্ঠ লাইলাতুল কদর রমজান মাসকে করেছে বিশেষভাবে মহিমান্বিত। মুসলমানের জন্য এ এক পরম সৌভাগ্যের মাস। সন্তুষ্টচিত্তে আমরা এ মাসকে স্বাগত জানাই।

পবিত্র কোরআন নাজিলের মাস রমজানের শিক্ষা মানবজাতির জন্য অতুলনীয় নেয়ামত স্বরূপ। কোরআনের শিক্ষা হলো মানবজাতিকে ইহলৌকিক ও পারলৌকিক জীবনে অশেষ কল্যাণ দান করা। এ মাসে আল্লাহ তার বান্দাদের কঠোর ত্যাগ, ধৈর্য, উদারতা ও সততা প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন।

বর্তমান সহিংস ও বিক্ষুব্ধ পৃথিবীতে রমজানের সংযম শিক্ষা অতি প্রত্যাশিত। রোজা পালনের মধ্য দিয়ে মুমিন বান্দা আত্মিকভাবে নিজেরা পরিশুদ্ধ হওয়ার সুযোগ পায়। রমজান থেকে মুসলিম উম্মাহ ঐকান্তিকভাবে শিক্ষা নেয়; অহেতুক কাজ থেকে বিরত থাকে; জিহ্বায় লাগাম টানে; হৃদয় পরিচ্ছন্ন রাখে; ব্যবহার সুন্দর করে; হিংসা-রেষারেষি থেকে মুক্তিলাভের শিক্ষা নেয়। ফলে বিচ্ছিন্ন হৃদয়গুলো অভিন্ন সুতোয় বেঁধে নেয়ার সুযোগ পায়; প্রতিটি মানুষ পরিশুদ্ধ হওয়ার অবকাশ পায়।

মহাবরকত ও কল্যাণের মাস মাহে রমজানে বেশি বেশি দোয়া-দরুদ পাঠ, তওবা-ইস্তেগফার ও প্রার্থনার মাধ্যমে আল্লাহর রহমতের ভাগিদার হওয়া যায়। রমজান মাসের প্রতিটি মুহূর্ত মহান আল্লাহর বিশেষ রহমতে পরিপূর্ণ। রোজা পালনের মধ্য দিয়ে মুমিন বান্দারা আত্মিকভাবে নিজেদের গড়ে তুলতে সক্ষম হন। তাই আল্লাহ তায়ালা রোজাদারদের জন্য পবিত্র রমজান মাসে তার রহমতের দরজা অবারিত করে দেন।

রমজান আমাদের আল্লাহর রহমত, বরকত ও মাগফেরাত লাভের অনন্য সুযোগ করে দিয়েছে। আসুন, আমরা অবারিত এই সুযোগ কাজে লাগাই। রমজানের শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে পার্থিব ও পরকালীন জীবন সমৃদ্ধ করি।