এবার বিএনপিকে ইরানের হুমকি!

প্রকাশ | ০৭ মে ২০১৯, ১৪:০৯ | আপডেট: ০৭ মে ২০১৯, ১৪:২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিভ রহমান পার্থের বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ছাড়াও পর এবার জোট ছাড়ার হুমকি দিয়েছেন আরেক শরিক বাংলাদেশ লেবার পার্টি। দলটির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান জোট ছাড়ার হুমকি দিয়েছেন।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে এমন অভিযোগে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে ২০ দলীয় জোট ও ঐক্যফ্রন্ট। এরপর জোটের নির্বাচিত আটজন শপথ নেবেন না বলে বারবার বলা হলেও শেষ পর্যন্ত শপথ নেন বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিত সাত সংসদ সদস্য। তবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেননি।

ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পর বিএনপি ২০ দলের শরিকদের সঙ্গে আগের মত মূল্যায়ন করে না বলে অভিযোগ করে শরিকরা। এমন অভিযোগকে প্রকাশ্যে এনে গতকাল সোমবার রাতে বিএনপি জোট ছাড়ার ঘোষণা দেয় আন্দালিব রহমান পার্থের দল বিজেপি। এবার সেই পথে হাঁটার হুমকি দিল আরেক শরিক বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান।

এজন্য ঐক্যফ্রন্ট ছাড়তে বিএনপিকে আলটিমেটাম দিয়েছেন তিনি। ইরান বলেছেন, ২৩ মের মধ্যে ঐক্যফ্রন্ট না ছাড়লে ২৪শে মে লেবার পার্টি ২০ দলীয় জোটে থাকবে কিনা সে সিদ্ধান্ত জানাবেন।

ইরান বলেন, আমরা বিএনপিকে ড. কামালের ঐক্যফ্রন্ট ছাড়ার জন্য এবং কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য কর্মসূচি দিতে আগামী ২৩শে মে পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিচ্ছি। এর মধ্যে বিএনপি সিদ্ধান্ত না নিতে পারলে ২৪ তারিখে আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত নেব।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শুধু আমার দল নয়, আমি যদি ২০ দলীয় জোটে না থাকি তাহলে আরও অন্তত ৪-৫ টি দল এই জোট থেকে বেরিয়ে যাবে।

ইরান আরও বলেন, ‘বিএনপি দল এবং জোট পরিচালনায় চরমভাবে ব্যর্থ এটা পরিষ্কার। আমরা ২০ দলীয় জোটকে কার্যকর রাখতে চাই। ২০ দলীয় জোট আমাদের রক্তের ওপর দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই জোটের কারণে আমি পাঁচবার গ্রেপ্তার হয়েছি। যুবলীগের হামলার শিকার হয়েছি। লক্ষ লক্ষ নেতা-কর্মী হামলা মামলা গুম খুন অপহরণের শিকার হয়েছে। ২০ দলীয় জোটই আন্দোলন-সংগ্রামের পরীক্ষিত জোট। পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের কারণে জোটকে বাইরে রাখা হয়েছে। আওয়ামী লীগের একটা এজেন্ডা হচ্ছে এই ঐক্যফ্রন্ট।’

বিএনপি বিশ্বাসঘাতকতা করেছে মন্তব্য করে ২০ দলের এই শরিক নেতা বলেন, ‘বিএনপি সংসদে গিয়ে জনগণের সঙ্গে জোটের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। জোট এবং ফ্রন্টের সিদ্ধান্তই ছিল সংসদে না যাওয়া। এটা তারা সঠিক কাজ করে নাই। একদিকে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করবো আরেক দিকে সংসদে যাবো! তাহলে তো ওই সংসদকে বৈধতা দেয়া হয়। নতুন নির্বাচনের আমাদের দাবি থাকে কোথায়? নতুন নির্বাচন চাই, আমরা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই।’

ঢাকাটাইমস/৭মে/বিইউ/এমআর