গোপালগঞ্জে চাপিলার নামে বিক্রি হচ্ছে জাটকা

নিজস্ব প্রতিবেদক, গোপালগঞ্জ
 | প্রকাশিত : ০৭ মে ২০১৯, ১৫:১২

গোপালগঞ্জে চাপিলা মাছে নামে দেদারছে বিক্রি হচ্ছে জাটকা ইলিশ। এসব মাছ মধুমতি নদীসহ গোপালগঞ্জের বিভিন্ন নদী থেকে শিকার করা হচ্ছে। আবার বাইরের জেলা থেকেও গোপালগঞ্জের বিভিন্ন হাট বাজারে জাটকা মাছ আসছে। প্রতিদিন মণকে মণ জাটকা মাছ গোপালগঞ্জের বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে।

সরকার ইলিশ মাছ রক্ষায় নদ-নদীতে সাড়ে তিন ইঞ্চির কম ফাঁসের জাল ব্যবহার নিষিদ্ধ করলেও তা মানা হচ্ছে না। জেলেরা নদীতে ছোট ফাঁসের কারেন্ট জাল ও নেটের জাল ব্যবহার দিয়ে প্রতিদিন লাখ লাখ জাটকা ইলিশ নিধন করছে।

গোপালগঞ্জ জেলা শহরের বড় বাজার, পাঁচুড়িয়া বাজার, ঘোনাপাড়া বাজার, টুঙ্গিপাড়ার পাটগাতী বাজার, বাঁশবাড়িয়া বাজার, কাশিয়ানীর উপজেলা সদর, গোপালপুর ও ভাটিয়াপাড়া বাজার, মুকসুদপুর ও কোটালীপাড়া উপজেলার অন্তত ৩০টি হাট বাজারে চাপিলা মাছের নামে এসব জাটকা ইলিশ বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতি কেজি জাটকা চারশ থেকে পাঁচশ টাকা দরে বিক্রি করা হয়।

গোপালগঞ্জ জেলার মধুমতি নদী, মাদারীপুর বিলরুট ক্যানাল, কোটালীপাড়ার সন্ধ্যা নদী ও বাবুর খাল এবং কাশিয়ানীর মধুমতি নদীর মোহনা যা টিঠা নামে পরিচিত। এসব নদী বা ক্যানাল থেকে কারেন্ট জাল ও নেট জাল দিয়ে জাটকা শিকার করেন জেলেরা। দিনে প্রশাসনের অভিযানের ভয়ে জেলেরা রাতের আধারে নদীতে জাল ফেলে লাখ লাখ জাটকা মাছ নিধন করছেন। তা আবার খোলা বাজারে বিক্রি করছেন।

মাঝে মধ্যে মৎস্য অফিস অভিযান চালিয়ে বিক্রেতাদের কাছ থেকে কিছু মাছ জব্দ করলেও বন্ধ করতে পারছে না মৎস্য শিকার। এসব অভিযোগ এনে নাম প্রকাশ না করার শর্তে গোপালগঞ্জ বড় বাজারের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, প্রায় দেড় মাস হলো আমাদের বাজারে চাপিলা মাছের নামে মণকে মণ ইলিশের বাচ্চা বিক্রি করা হয়। প্রশাসনের লোক মাঝে মধ্যে আসে। একজনকে ধরলে অন্যরা মাছ লুকিয়ে রাখে। চলে গেলে আবার বিক্রি করে। যাদের ধরে তাদের বড় কোন সাজা দেয় না। এই কারণে বিক্রি বন্ধ হচ্ছে না।

জাটকা বিক্রি ও শিকারের কথা স্বীকার করে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা নারায়ণ চন্দ্র ম-ল বলেন, গোপালগঞ্জের হাটবাজারে জাটকা পাওয়া যাচ্ছে। কিছু আছে স্থানীয় নদ- নদীর আবার কিছু আছে বাইরের জেলা থেকে আসা। ফলে আমিসহ গোপালগঞ্জ পাঁচ উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তারা জেলার বিভিন্ন হাটবাজারে পুলিশ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সহায়তায় নদীতে ও বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আসছি। যাদের কাছে এসব মাছ পাওয়া যাচ্ছে, তাদের মাছ জব্দ করে জরিমানা করা হয়েছে। ফলে জাটকা বিক্রি অনেকটা কমে এসেছে। আগামীতে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।

(ঢাকাটাইমস/৭মে/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :