হবিগঞ্জে ২৫০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণ

‘তদন্তের পর বলা যাবে কি পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে’

প্রকাশ | ০৭ মে ২০১৯, ১৯:৩৯

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের ভবন নির্মাণ কাজের দুর্নীতির বিষয়ে তদন্তে নেমেছে হবিগঞ্জ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক হবিগঞ্জের উপ-পরিচালক অজয় কুমার সাহার নেতৃত্বে তদন্ত শুরু করেন দুদকের কর্মকর্তারা।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) হবিগঞ্জের উপ-পরিচালক অজয় কুমার সাহা জানান, ভবনটি নির্মাণের পরপরই বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ ভবনের নিন্মমানের কাজ হয়েছে মর্মে সংবাদ পরিবেশন করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে এ ভবনের কাজে কোন প্রকার দুর্নীতি হয়েছে কিনা তা জানতে তদন্ত করছে দুদক। প্রাথমিক তদন্তে অনিময়ের কিছু বিষয় পরিলক্ষিত হয়েছে। আমাদের তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। তদন্তের পরই বলা যাবে নির্মাণ কাজে কি পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে।

২০১৭ সালের ৩০ মে দৈনিক মানবকণ্ঠ ও ঢাকা টাইমস টোয়েন্টি ফোর ডটকম পত্রিকায় ‘হবিগঞ্জে নির্মাণাধীন ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট আধুনিক সদর হাসপাতালের নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে’ মর্মে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

সংবাদে বলা হয়, মাটির নিচ থেকে ১০ ইঞ্চি করে ভিট লেভেল দেয়াল দেয়ার পরিবর্তে অধিকাংশ স্থানে ৩ ইঞ্চি ইটের গাথুনি দিয়েই নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দেশ উন্নয়ন লি.। ভবনে ‘এ’ গ্রেড টাইলস-এর স্থলে দেয়া হয়েছে বি ও সি-গ্রেডের টাইলস। মোটা দানার সাদা বালুর পরিবর্তে স্থানীয় খোয়াই নদী থেকে উত্তোলিত পলি মাটি মিশ্রিত কালো বালু দিয়েই প্লাস্টারের কাজ করছে। উন্নতমানের থাই এ্যালুমিয়াম ও গ্লাস লাগানোর পরিবর্তে এখানেও ব্যবহার করা হচ্ছে বি-গ্রেড ও সি-গ্রেডের মালামাল। ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের সিমেন্ট। বিদ্যুতের লাইন, সেনেটারি ফিটিংসও করা হচ্ছে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে।

গত ৫ মে হবিগঞ্জ দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক অজয় কুমার সাহা স্বাক্ষরিত পত্রে জানানো হয়, ‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দেশ উন্নয়ন লিঃ কর্তৃক শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল হবিগঞ্জ-এর নির্মাণ কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতি সংক্রান্ত প্রকাশিত রিপোর্টেরভিত্তিতে ইতোমধ্যে অনুসন্ধান কাজ চলমান রয়েছে। প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী নমুনাস্বরূপ ভবনের কিছু অংশ পরিমাপ করা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে মানবকণ্ঠ ও ঢাকা টাইমস টোয়েন্টি ফোরের প্রতিনিধি আবু হাসিব খান পাবেলের দেখানো মতে ভবনের জায়গার পরিমাপ নিরপেক্ষ প্রকৌশলী কর্তৃক গ্রহণ করা হয়।’

তদন্তকালে উপস্থিত ছিলেন- হবিগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাদ মোহাম্মদ আন্দালিব, এলজিইডির হবিগঞ্জ সদর উপজেলা প্রকৌশলী উবায়দুল বাশার, সাংবাদিক আবু হাসিব খান চৌধুরী পাবেল প্রমুখ।
(ঢাকাটাইমস/৭মে/এলএ)