মেহেরপুরে সেতু নির্মাণকাজের উদ্বোধনেই নয় মাস পার

রাজিবুল হক সুমন, মেহেরপুর
 | প্রকাশিত : ০৯ মে ২০১৯, ১৪:০২

মেহেরপুর কুষ্টিয়ার সীমানা নির্ধারণ করা মাথাভাঙ্গা নদীর উপর মোহাম্মদপুর-শ্যামপুর নুরুল হক সেতুটির নির্মাণকাজের সূচনার নয় মাস পার হতে চললেও এখন পর্যন্ত কাজ শুরু হয়নি। ফলে বর্ষা মৌসুমে নৌকা আর শুকনো মৌসুমে সাঁকোতে পারাপার হতে হয় হাজারো মানুষকে। কাজ শুরু না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।

সেতুর নাম ফলকেই কেটে গেছে নয় মাস, দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই একেবারেই। ওপারে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা, এপারে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা মাঝখানে মাথাভাঙ্গা নদী। প্রতিদিন এই নদীর উপর দিয়ে হাজারো মানুষ যাতায়াত করেন। স্বাধীনতার ৪৭ বছরেও এখানে একটি সেতু নির্মাণ হয়নি। বর্ষা মৌসুমে নৌকা আর শুকনো মৌসুমে বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা দুই পারের যাতায়াতকারীদের। সেতু নির্মাণের দাবিটিও দীর্ঘদিনের। বারবার আশ^াসেই চলে গেছে অনেকটা বছর। দুর্ভোগ হলেও জীবন জীবিকার তাগিদে পারাপার কোনদিন থেমে থাকেনি।

সম্প্রতি ২০১৮ সালের ১৭ জুলাই সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা আক্তার বানু ১৮০ মিটার দীর্ঘ সেতুর নির্মাণ কাজের সূচনা করেন। এর পর থেকে প্রায় নয় মাস অতিবাহিত হলেও সেতু নির্মাণের জন্য কোন সামগ্রী এখানে রাখা হয়নি। শুরু হয়নি কোন কার্যক্রমও।

এলজিইডি অফিসের তথ্য বলছে, জেলার বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েটি সেতু নির্মাণ করা হবে। তবে এসব সেতুর মাঠ পর্যায়ের সকল কাজ সম্পন্ন হয়েছে। দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।

নদীপারাপার হতে আসা মহাম্মদপুর গ্রামের মেহেদী হাসান জানান, ওপারে দৌলতপুর এপাশে গাংনী উপজেলা মাঝখানে মাথাভাঙ্গা নদী। আমাদের দীর্ঘদিনের দাবী এখানে একটি সেতু হোক। কিন্তু নয় মাস আগে উদ্বোধন হলেও সেতুর দেখা মিলছে না। এখান দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাওয়া আসা করে এখন পর্যন্ত কোন সুরাহা হয়নি।

একই কথা জানালেন আরো কয়েকজন, নয় মাস আগে নুরুল হুদা সেতুর সাইনবোর্ড দিয়েছে এখানে ব্রিজ হওয়া কথা এখানে ব্রিজ আদৌ হবে কিনা বলতে পারছি না যেহেতু এখনও কোন ইট বালি খোয়া পড়েনি। আমাদের যাতায়াতে বেশ কষ্ট হচ্ছে। ৫ থেকে ৬ হাজার মানুষ এই নদী দিয়ে পারাপার হয় সব ধরনের মানুষ চলাচল করে। এখানে একটি ব্রিজ না হলে আমাদের সমস্যা। ব্রিজটি হলে সবার জন্য সুবিধা।

স্থানীয় কয়েকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সেতু না থাকায় বিরাট দুর্ভোগ এখানে প্রতিদিন শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষ এখান দিয়ে পার হয়। এই হবে-হচ্ছে করে হচ্ছে না। মেহেরপুর এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান জানান, জেলার তিন উপজেলায় যতগুলো ব্রিজ প্রয়োজন সেগুলো সব নির্মাণ করা হবে। এর ভেতরে যেগুলো বেশি জনভোগান্তি পারাপারে সাঁকো আছে অনেক কষ্ট করে পারাপার হতে হয়। কৃষক জনতা তাদের মালামাল পরিবহনে কষ্ট করে সেই সব ব্রিজের গুরুত্ব বিবেচনা করে পর্যায় ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/৯মে/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :