ফরিদপুরে মিল্কভিটার গরু খামারিদের মাঝে ঋণ বিতরণ

প্রকাশ | ০৯ মে ২০১৯, ২১:০৫

ফরিদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ফরিদপুরে মিল্কভিটার গুরু খামারিদের মাঝে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এমপি এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সুবিধাভোগীদের মাঝে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

ফরিদপুর শহরের বদরপুরের আফসানা মঞ্জিলে বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঋণ বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এসময় ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ থেকে দারিদ্র্য দূর করার লক্ষ্যে নির্দিষ্ট ভিশন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। এরই অংশ হিসেবে এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।’

ইঞ্জিনচালিত কৃষির কারণে দেশে গরু প্রতিপালনের হার মারাত্মকভাবে কমে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এর ফলে দেশে পুষ্টির সংকট সৃষ্টি হয়েছে। যেই হারে জনসংখ্যা বাড়ছে, সেই হারে দেশে পুষ্টির সংস্থান হচ্ছে না। গরুর দুধ এই পুষ্টি সংকট লাঘবে বিরাট ভূমিকা রাখতে পারে। দেশে গরু প্রতিপালন নতুন করে শুরু না হলে খাদ্য ক্ষেত্রে মারাত্মক এক বিপর্যয় নেমে আসতে পারে।’
এসময় তিনি নিজের বাড়িতে গরু প্রতিপালনের তথ্য উল্লেখ করে জানান, ‘আমার নিজের গরুর খামারে চারটি গাভী থেকে প্রতিদিন ৮২ লিটার দুধ উৎপাদন হয়। যা থেকে প্রতিমাসে আমার আয় হয় প্রায় লক্ষাধিক টাকা।’

মিল্ক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ নাদির হোসেন লিপু অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ঋণ গ্রহিতাদের মিল্কভিটার চিকিৎসককে সাথে নিয়ে গরু ক্রয়ের পরামর্শ দেন।

তিনি বলেন, ‘যদি ভাল জাতের গরু ক্রয় না পরেন তবে আপনার কাক্সিক্ষত সমৃদ্ধি আসবে না। ঋণের টাকাও পরিশোধ করতে পারবেন না। নিজের সন্তানকে যেভাবে লালন পালন করেন সেভাবেই এই গরুকেও প্রতিপালন করবেন।’

শেখ নাদের হোসেন লিপু বলেন, ‘গরুর কিছুই ফেলনা নয়। গরুর বর্জ উৎকৃষ্টমানের সার। এছাড়া বর্তমানে গরুর মূত্রের সাথে কেমিকেল মিশিয়ে উন্নতমানের ডিটারজেন্ট তৈরি করা হচ্ছে।’

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্যে প্রকল্প পরিচালক ডা. মো. আব্দুল করিম জানান, ফরিদপুরের সদর, চরভদ্রাসন ও আলফাডাঙ্গা, গোপালগঞ্জের সদর, টুঙ্গিপাড়া ও কাশিয়ানী এবং রাজবাড়ির পাংশা, বালিয়াকান্দি ও গোয়ালন্দ এই নয়টি উপজেলায় চার বছর মেয়াদী এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রকল্প ব্যয় প্রায় ৩৫৪ কোটি টাকা। এরমধ্যে মিল্কভিটা থেকে ১৪ কোটি টাকা এবং অবশিষ্ট টাকা জিওবি খাত থেকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রত্যেক ঋণ গ্রহিতাকে গরু ক্রয়ের জন্য দুই লাখ টাকা ও প্রতিপালনের জন্য আরো ৪০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে।

অনুষ্ঠানে ফরিদপুরের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক রোকসানা রহমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মৃধা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল হোসেন পাশা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/৯মে/এলএ)