চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য বিরোধ আরও বাড়ল
চীনের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য বিরোধের জের ধরে দেশটির প্রায় ২০০ বিলিয়ন ডলারের পণ্যের ওপর শুল্ক আরও বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আগের শুল্ক ছিল ১০ শতাংশ। সেটা ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। এর জবাবে পাল্টা ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে চীন।
যুক্তরাষ্ট্রের এমন সময় এই পদক্ষেপ নিয়েছে, যখন উভয় দেশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা একটি চুক্তির জন্য ওয়াশিংটনে চেষ্টা চালানোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছিলেন। যার ফলে সাম্প্রতিক সময়ে দেশ দুটি কয়েক মাসের বিরোধের অবসানের কাছাকাছি পৌঁছে ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছিল।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপের জবাবে পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছিল চীন। দেশ দুটির মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের মধ্যে যেমন অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে তেমনি বিশ্ব অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলেছে। তবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প ৩২৫ বিলিয়ন ডলারের চীনা পণ্যের ওপর ২৫% শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি চীনা প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে একটি চমৎকার চিঠি পেয়েছেন। হয়তো ফোনে কথা বলবেন। হোয়াইট হাউজের একজন মুখপাত্র বলেছেন, শুক্রবার আলোচনা শুরুর জন্য চীনা ভাইস প্রিমিয়ারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা একমত হয়েছেন।
২০০ বিলিয়ন ডলারের চীনা পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক এ বছরের শুরুতেই হওয়ার কথা ছিল। আলোচনা চলার কারণে সেটা বিলম্বিত হয়েছে। তবে ট্রাম্প এখন বলছেন, আলোচনার গতি অত্যন্ত ধীর। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির ওপর এর প্রভাব কেমন তা তিনি এড়িয়ে গেছেন। তবে কিছু মার্কিন কোম্পানি ও ক্রেতাদের জন্য শুল্ক বাড়ানোটা একটা ধাক্কার মতো বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এশিয়ান ট্রেড সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক ডেবোরাহ এলমস বলছেন, ‘এটা অর্থনীতিতে একটা বড় ধাক্কা দিতে যাচ্ছে।’ হোয়াইট হাউজের একজন উপদেষ্টা ক্লিটি উইলেমস বলছেন, ‘শুল্ক বাড়ানোটাই শেষ খেলা নয়।’ তবে তিনি আশা করেছেন, দুই পক্ষই আলোচনা অব্যাহত রাখবে।
এদিকে বিশ্লেষকরা বলছেন, চীন আলোচনায় আগ্রহী। কারণ এ সমস্যা সমাধানের গুরুত্ব তারা স্বীকার করে। দেশটির একটি অংশ মনে করে, তাদের উত্থানকে খর্ব করার জন্যই পশ্চিমারা এ বাণিজ্য যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছে। দুই পক্ষই ইতিমধ্যে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্যের ওপর শুল্ক চাপিয়েছে।
ঢাকাটাইমস/১০ মে/এএইচ