নার্স তানিয়া হত্যায় চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ

প্রকাশ | ১১ মে ২০১৯, ২০:২৫ | আপডেট: ১১ মে ২০১৯, ২১:২৭

আমিনুল হক সাদী, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জে চলন্ত বাসে নার্স শাহিনুর আক্তার তানিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলার আসামিদের কাছ থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে এসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ।

নিহত তানিয়ার পরিবারের দাবি, কোনো মহলের চাপে যেন বিষয়টি ভিন্ন খাতে নেয়া না হয়। সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন স্বজনেরা।

গত সোমবার রাতে ঢাকা থেকে স্বর্ণলতা পরিবহনের বাসে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীর গ্রামে ফিরছিলেন শাহিনুর আক্তার তানিয়া। পথে বাজিতপুরের গজারিয়ায় ধর্ষণের পর ফেলে দেয়া হয় তাকে। কটিয়াদী স্থাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলেও বাঁচানো যায়নি।

মামলার আসামি বাসচালক নুরুজ্জামান, সহকারী লালন মিয়া, বকুল, খোকন ও রফিক বর্তমানে পুলিশের রিমান্ডে রয়েছে।

পুলিশ সুপার ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘রিমান্ডে পাওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে। সংবাদ সম্মেলন করে মিডিয়ার মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।’

এসপি জানান, তানিয়াকে নিয়ে আসা বাসটি উদ্ধার করা হয়েছে। বাসে রক্তের দাগ পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।

কিশোরগঞ্জ জেলা ২৫০ শয্যাবিষ্টি হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. রমজান মাহমুদ জানিয়েছেন, তিন সদস্যের একটি টিম তানিয়ার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে। তার ঘায়ে আঘাতের চিহ্নসহ মিলেছে ধর্ষণের আলামত।

তানিয়ার পরিবার জানিয়েছে, ক্যানসার আক্রান্ত মায়ের মৃত্যু হয়েছে মাত্র তিন মাস আগে। চিকিৎসার জন্য ঋণ হয়েছে অনেক টাকা। এ অবস্থায় উপার্জনক্ষম তানিয়াকে হারিয়ে তারা দিশেহারা। ফেনীর নুসরাতের মতো কিশোরগঞ্জের তানিয়া হত্যার তদন্তেও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ এবং প্রশাসনের সঠিক তৎপরতা চায় তার পরিবার ও এলাকাবাসী।

তানিয়া হত্যার প্রতিবাদ ও জড়িতদের দ্রুত বিচারের দাবিতে প্রতিদিনই মানববন্ধন-বিক্ষোভ মিছিলসহ নানা কর্মসূচি পালন করছে বিভিন্ন সংগঠন।

শনিবার সকালে জেলা শহরের কালিবাড়িস্ত পরম চত্বরে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন, মানবাধিকার নাট্য পরিষদসহ আরও কয়েকটি সংগঠনের ব্যনারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।

(ঢাকাটাইমস/১১মে/জেবি)