বিষদ তদন্তে সিআরওকে দায়িত্ব

এসিআইয়ের ব্যাখ্যা অযৌক্তিক

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১২ মে ২০১৯, ২১:৩৯

ব্যবসায় মন্দাবস্থা নিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা দিয়েছেন এসিআই কর্তৃপক্ষ। যে কারণে কোম্পানিটির বিষয়ে বিষদ তদন্তের জন্য ডিএসইর প্রধান নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা (সিআরও) একেএম জিয়াউল হাসান খানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

আজ রবিবার এসিআই নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ডিএসইর পরিচালক ও তদন্ত কমিটির সদস্য মিনহাজ মান্নান ইমন সাংবাদিকদের বলেন, ব্যবসায় মন্দাবস্থার কারন জানতে এসিআই কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়। তবে এর প্রতিউত্তরে এসিআই কর্তৃপক্ষ অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য জবাব দিয়েছেন। যে কারনে সিআরও’কে কোম্পানিটির ১০ বছরের আর্থিক হিসাব তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, সিআরও আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে রিপোর্ট জমা দেবে। এরপরে তদন্ত কমিটি ডিএসইর পর্ষদে তা উপস্থাপন করবে। পরবর্তীতে ডিএসইর পর্ষদ এসিআইয়ের বিষয়ে করণীয় নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) সুপারিশ করবে।

এসিআই সংক্রান্ত বেশকিছু অভিযোগ অনেকদিন থেকে বাজারে আসছে বলে জানান ডিএসইর এই পরিচালক। দীর্ঘদিন ধরে কোম্পানিটির ক্রমবর্ধমান হারে স্বপ্নর লোকসান বাড়ছে। এ কারণে ক্ষতিগ্রস্থ একজন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে ওই বিনিয়োগকারী উল্লেখ করেছেন এসিআই যে লোকসান দেখাচ্ছে তা গ্রহণযোগ্য না।

ডিএসইর পরিচালক মো. রকিবুর রহমান বলেন, একটি ভালো কোম্পানির ১০ বছর আগে রিজার্ভ ছিল দুই হাজার কোটি টাকা। সে একটি সাব সিডিয়ারি করেছে কোন সমস্যা নেই। সাবসিডিয়ারি করেছে আরও লাভ করার জন্য। এক বছর, দুই বছর, তিন বছর লোকসান হওয়ার পর আপনার কি অধিকার আছে এটা চালিয়ে যাওয়ার। কে দিয়েছে আপনাকে এই অধিকার? স্বপ্ন তিন-চার বছর লোকসান করার পরও এটা কিভাবে চালানো হচ্ছে। কার টাকা দিয়ে চালানো হচ্ছে। মূল কোম্পানির রিজার্ভ থেকে টাকা নিয়ে চলে যাওয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, ব্যবসার মন্দাবস্থা নিয়ে শেয়ারহোল্ডাররা বার্ষিক সাধারন সভায় (এজিএম) ভূয়সী প্রশংসা করেছেন বলে ডিএসইর চিঠির প্রতিউত্তর এসিআই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। একইসঙ্গে শেয়ারহোল্ডাররালোকসানি স্বপ্নরব্যবসা চালিয়ে যেতে বলেছেন বলেও জানিয়েছেন। এসিআই কর্তৃপক্ষের এমন জবাবকে স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেননি তদন্ত কমিটি। এ নিয়ে গতকালকের বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তদন্ত কমিটি।

এসিআই লিমিটেডের গত কয়েক বছরের সন্দেহজনক আর্থিক বিবরণী নিয়ে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ডিএসই তদন্ত কমিটি গঠন করে। ডিএসইর পরিচালক ও সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি ছিদ্দিকুর রহমান মিয়াকে প্রধান করে ওই কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্য হিসেবে আছেন- ডিএসইর পরিচালক ও সাবেক সভাপতি মো. রকিবুর রহমান, পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন, স্বতন্ত্র পরিচালক মনোয়ারা হাকিম আলী, প্রফেসর ড. মো. মাসুদুর রহমান এবং ডিএসইর প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) আবদুল মতিন পাটোয়ারী।

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

পাটজাত পণ্যের বৈশ্বিক বাজারকে কাজে লাগাতে হবে: পাটমন্ত্রী

অধ্যাপক খলীলী ব্যাংক এশিয়ার বোর্ড অডিট কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত

স্বর্ণের দাম কমল ভরিতে ৩ হাজার ১৩৮ টাকা

জনতা ব্যাংকের ম‌্যানেজার্স ইন্ডাকশন প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন

বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে স্থানান্তরিত হলো ন্যাশনাল ব্যাংক ডিজাস্টার রিকভারি সাইট

ইসলামী ব্যাংকের ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম উদ্বোধন

টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে ওয়ালটন, মুনাফা বেড়েছে ৫১২ কোটি টাকা

মিনিস্টারের শতকোটি টাকার ঈদ উপহার জিতে আনন্দিত ক্রেতারা 

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স উদ্বোধন

জনতা ব্যাংকের অফিসারদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :