সানির প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অখুশি বাবা ধর্মেন্দ্র

প্রকাশ | ১৩ মে ২০১৯, ১৪:৫৯

বিনোদন ডেস্ক

ভারতের ১৭তম লোকসভা নির্বাচনে গুরুদাসপুর থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন বলিউড অভিনেতা সানি দেওল। কিন্তু এই আসনে সানির প্রতিদ্বন্দ্বিতায় খুশি নন তার বাবা অভিনেতা ধর্মেন্দ্র। তিনি বিজেপির সাবেক সাংসদ। ধর্মেন্দ্র কথায়, ‘আগে জানলে গুরুদাসপুর থেকে সানিকে প্রার্থী হতে দিতাম না।’

গুরুদাসপুর থেকে কংগ্রেসের হয়ে ভোটে লড়ছেন সুনীল জাখর। সুনীল নাকি ধর্মেন্দ্রর সন্তানসম। তার বাবা বলরাম জাখরকে ভাইয়ের মতো দেখেন ‘সোলে’ খ্যাত অভিনেতা ধর্মেন্দ্র। যার কারণে তিনি বলেন, ‘আগে যদি জানতাম গুরুদাসপুরে সুনীলের বিপক্ষে লড়ছে সানি, তবে ওকে প্রার্থী হতে দিতাম না।’

ব্যক্তিগত সুসম্পর্কের কারণেই এক সময় সুনীলের বাবা বলরাম জাখরের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে অস্বীকার করেছিলেন ধর্মেন্দ্র। সাবেক কংগ্রেস সাংসদ বলরাম জাখর ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে রাজস্থানের চুরু কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। অন্যদিকে ধর্মেন্দ্র বিকানের থেকে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং জয়ীও হয়েছিলেন।

ছেলের বর্তমান প্রতিদ্বন্দ্বী সম্পর্কে প্রবীণ এই অভিনেতা বলেন, ‘সুনীল একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। তার বাবাও রাজনীতিতে অভিজ্ঞ মানুষ। তাই গুরুদাসপুরের আসনে সুনীলের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো সানির ঠিক হয়নি। সুনীলের বাবা বলরাম আমাকে রাজনীতির পাঠ শিখিয়েছিলেন। সে জন্য তার পক্ষে রাজস্থানে ভোটের প্রচারে সাহায্য করেছিলাম।’

তবে সানি দেওল বলছেন, কারও ভাবমূর্তি ভাঙিয়ে নয়, নিজের দেশসেবার মনোভাবকেই ভোটারদের সামনে তুলে ধরতে চান তিনি। ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্যই তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বলে জানান। অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে তার বাবা ধর্মেন্দ্র বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। ভোটের প্রচারে সেই প্রসঙ্গও উঠে আসে সানির বয়ানে।

সদ্য বিজেপিতে যোগ দেয়া সানি গুরুদাসপুরে প্রচার শুরু করেছেন প্রয়াত অভিনেতা বিনোদ খান্নার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে। বিনোদ এই আসনের সাবেক সাংসদ। ভোটের প্রচারে নেমে তার অসমাপ্ত কাজগুলো পূরণ করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন সানি। তবে গুরুদাসপুরে সানিকে প্রার্থী করায় খুশি নন বিনোদ খান্নার স্ত্রী কবিতা। তিনি চেয়েছিলেন, ছেলে অক্ষয় খান্না এই আসনে প্রার্থী হোক।

ঢাকাটাইমস/১৩ মে/এএইচ