বগুড়ায় ‘যৌতুকের বলি’ বালিকাবধূ
বিয়ের এক মাস যেতে না যেতেই যৌতুকের বলি হয়েছেন এক বালিকাবধূ। মাত্র ২৫ হাজার টাকা যৌতুক না পেয়ে পাষণ্ড স্বামীর বিরুদ্ধে গৃহবধূ ফারজানাকে গলা টিপে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার সকালে প্রতিবেশীদের দেয়া খবরে পেয়ে পুলিশ ফারজানার লাশ তার বাড়ির পাশের বাঁশঝাড়ের এক ড্রেন থেকে উদ্ধার করে। ঘটনার পর ফারজানার স্বামী ও শ^শুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।
ফারজানার বাবা আবুল কালাম ঢাকা টাইমসকে জানান, নন্দীগ্রাম উপজেলার থালতা মাঝগ্রাম ইউনিয়নের আগাপুর গ্রামে তার বাড়ি। দিনমজুরি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। গত এক মাস আগে সে তার কিশোরী মেয়ে ফারজানাকে পাশের তারশুন গ্রামের মঞ্জুরুল ইসলামের ছেলে দিনমজুর রকি হোসেনের সাথে বিয়ে দেন। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে ২৫ হাজার টাকা এক বছর পর দেয়ার কথা থাকলেও রকি গত ১৫ দিন আগে ফারজানাকে বাড়ি নিয়ে যায়। এরপর থেকেই রকি যৌতুকের টাকা দাবি করে আসছিল। যৌতুকের টাকা না পেয়েই ফারজানাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
নন্দীগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুর মোহাম্মদ ঢাকা টাইমসকে জানান, এলাকাবাসীর দেয়া তথ্যে নিহত ফারজানার লাশ তার বাড়ির পাশের বাঁশ ঝাড়ের একটি ড্রেন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১৩মে/এলএ)